স্বদেশ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পাদিত বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন বিএনপির দুই নেতা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে চিঠিটি পৌঁছে দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিদার বলেন, সোয়া ১২টার দিকে চিঠি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন দুই নেতা। তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি-২ এর কাছে চিঠি পৌঁছে দিয়ে পৌনে ১টার দিকে বের হয়ে আসেন। এসময় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
চিঠি পৌঁছে দিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি চিঠি নিয়ে এসেছিলাম। ওই চিঠিতে বলা আছে, অতি সম্প্রতি ভারত সফর ও অন্যান্য দেশে সফরকালীন সময়ে সেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিগুলো হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী সেই চুক্তিগুলোকে জনসম্মুখে প্রকাশ করা এবং তারমধ্যে দেশের স্বার্থের হানিকর কিছু হয়েছে কি না সেটা পর্যালোচনা করার সুযোগ দেওয়া হোক।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি শুধুমাত্র জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। কিন্তু এ সম্পর্কে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়নি এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছেও এই ফাইল গিয়েছে কি না এ বিষয়ে সাধারণ জনগণ কিছু জানে না। কিন্তু সংবিধানের ১৪৫/ক ধারায় এটা সংসদে পেশ করার এবং জানার জনগণের অধিকার রয়েছে। জনগণের সমর্থিত দল হিসেবে বিএনপি এই দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। অবিলম্বে এটা সংসদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আনা হোক। যাতে এটা পাবলিক ডিসকাশনের ব্যবস্থা হয়।
সংসদে প্রতিনিধি আছে সেখানে উত্থাপন না করে এখানে কেন দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, জাতীয় সংসদে আমাদের যারা সদস্য আছেন তারা কয়েক দফা এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেছেন, নোটিশ দিয়েছেন। তাদের সে নোটিশ গ্রহণ করা হয়নি। কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা অনোন্যপায় হয়ে এখানে চিঠি দিলাম।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির ডকুমেন্ট চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। শনিবার রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন দুয়েক দিনের মধ্যে চিঠি পৌঁছানো হবে।