স্বদেশ ডেস্ক:
পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি প্রতিবাদে ও কৃষকদের পণ্যের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে ১৮ নভেম্বর সোমবার ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি। শনিবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেট জড়িত। এই সিন্ডিকেটের পেছনে সরকারের মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা কাজ করেছে। বলা হচ্ছে, সরকার আগে ধারণাই করতে পারেননি কত আসছে, কত রপ্তানি হচ্ছে। যার ফলে আজকে পেঁয়াজের মতো একটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু পেঁয়াজই নয় সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, সরকারের সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা জানায় বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব আবার আসছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এই বিষয়ে গণশুনানি আছে। আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এবার দলের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি টিম এই গণশুনানিতে অংশ নেবে। ওই টিমের সদস্যরা হচ্ছেন- বরকত উল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও এবিএম মোশাররফ হোসেন। তারা এই শুনানিতে যাবেন এবং বিএনপির বক্তব্য সেই বক্তব্য তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে না তাদের টাকা দিতে হচ্ছে। এখানে মেগা দুর্নীতি চলছে, ভয়াবহ দুর্নীতি চলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে যেসব চুক্তি করেছেন তা জনসমক্ষে প্রকাশ করবার জন্য বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা চিঠি দেবে। এই চিঠি কাল/পরশুর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব। তিনি বলেন, ‘চুক্তির বিষয়ে তথ্য সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও আমরা চিঠি দেব। সেটা যথা সময়ে তাদের কাছে পৌঁছাবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। যে দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ হারাল, সেই রকম অভিযোগ জাহাঙ্গীরনগর ভিসির বিরুদ্ধে এসে গেছে। সে ক্ষেত্রে তাকে ডিফেন্ড করে প্রধানমন্ত্রী নিজে যে হুমকি দিয়েছে সেটা কিন্তু আইনসম্মত হুমকি নয়। উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, সরকার টাকা বন্ধ করে দেবে। আমার কথা টাকা আসে কি সরকারের পকেট থেকে না জনগণের কাছ থেকে।’
ফখরুল বলেন, জনগণ টাকা দেয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, তারা জনগণের টাকায় চলে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অরডিন্যান্স আছে, সেসব নিয়ম কানুন আছে তার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলে।শিক্ষক ও ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে আমরা সেই আন্দোলনকে ন্যায়সংগত আন্দোলন মনে করি এবং আমরা এটা সমর্থন জানাচ্ছি।
বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে অংশ নেন স্কাইপে।