বগুড়ার সোনাতলায় চাঁদার দাবিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় চার সহোদরসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়েরের পর আরিফুর রহমান পলাশ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশন বাজারে অবস্থিত শিহিপুর (জাহানেরপাড়া) এলাকার রিয়াজুল করিমের ঝর্না ফার্মেসী ও ঝর্না ইলেকট্রনিক্স দোকানে শিহিপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার আরিফুর ইসলাম পলাশ ঈদ উপলক্ষে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দোকান মালিক চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পলাশ ক্ষিপ্ত হন। পরে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পলাশ ও তার লোকজন ঝর্না ফার্মেসী ও ঝর্না ইলেকট্রনিক্স দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় দোকান মালিক বাধা দিলে তাদেরকে বেদম মারধর করা হয়।
হামলায় রিয়াজুল করিম (৪৫), তার ভাই রেজাউল করিম (৪০), আল মামুন (৩০) ও এনামুল হক (২২) গুরুত্বর আহত হন। তাদেরকে রক্ষা করার জন্য কালাম (৪০), শাহিন (৩২) ও মিন্টু (৫০) এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের মারপিটে তারাও আহত হন। তাদের সবাইকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রিয়াজুল করিম বাদী হয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নয়জনকে আসামি করে সোনাতলা থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় আরিফুর ইসলাম পলাশকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার কারাগারে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, পলাশের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।