স্বদেশ ডেস্ক:
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের হাটে সপ্তাহের প্রতি রোববার গরু কেনাবেচা হয়। সে হাটে গতকাল রোববার একটি মহিষ নিয়ে আসেন দুজন। কেউ কেউ বলছেন, মহিষটি বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল। আবার কারও ভাষ্য, জবাই করে মাংস বিক্রির জন্য মহিষটি আনা হয়েছিল।
মহিষটিকে গোহাটার পাশে একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পর ওই মহিষ হঠাৎ খ্যাপাটে আচরণ শুরু করে। দড়ি ছিঁড়ে মানুষ ও হাটে ওঠা অন্য গরুকে এলোপাতাড়ি শিং দিয়ে গুঁতানো শুরু করে। পরে একপর্যায়ে হাট ছেড়ে মহিষটি চলে যায় একটি বিলে। সেখানে মধ্য রাতে গ্রামবাসী মহিষটিকে আটক করে।
হাটে মহিষের শিংয়ের গুঁতায় নিহত হন সানোয়ার হোসেন (৭০)। এ ছাড়া আহত হন অন্তত ১০ জন। মহিষটি আটক করতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত গ্রামের মানুষ খ্যাপা মহিষটিকে আটক করে। নিহত ব্যক্তির বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার উত্তর জোরবাড়িয়া গ্রামে।
ফুলবাড়িয়া থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা থেকে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা একটি মহিষ কিনে আনেন। পরে মহিষটি ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরের হাটে নেওয়া হয়। মহিষটির এলোপাতাড়ি গুঁতায় অন্তত দশজন আহত হন। তাদের মধ্যে আহত সানোয়ার হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় গতকাল রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, মহিষের গুঁতায় একজন নিহতের পর মহিষটি যারা বিক্রি বা জবাই করার জন্য এনেছিলেন, তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। মহিষটিকে উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে রাখা হয়েছে। যারা মহিষটিকে বাজারে এনেছেন, তাদের কোনো ত্রুটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।