শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জানুয়ারিতেই শুরু রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ….!

জানুয়ারিতেই শুরু রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ….!

স্বদেশ ডেস্ক: অযোধ্যার জমি বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে শনিবার। তার পর, কবে থেকে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠছে। সূত্রের খবর, যাতে আগামী বছর মকর সংক্রান্তি তিথি থেকেই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে সেই লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে কেন্দ্রকে তিন মাস সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মন্দির নির্মাণের জন্য দ্রুত ট্রাস্ট গঠন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এ জন্য সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এগোতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ও অ্যাটর্নি জেনারেলেরও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এক ঝাঁক আমলাও সুপ্রিম কোর্টের রায় খতিয়ে দেখছেন। সূত্রের খবর, এ বার মন্দিরের নতুন করে কোনও শিলান্যাস হবে না। এক সরকারি কর্তার কথায়, ‘‘এমন প্রকল্প শুরু করার জন্য সংক্রান্তি একটি শুভ দিন এবং আমরা আশা করি, তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার সব প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলবে।’’ আগামী বছর মকর সংক্রান্তি পড়ছে ১৫ জানুয়ারি।
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সূত্রের খবর, সে কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার আগেই মন্দির নির্মাণের আইনি প্রক্রিয়া এবং নির্মাণের কাজ যাতে অনেকটা এগিয়ে যায় সেই লক্ষ্যও রয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে দ্রুত পদক্ষেপ করুক কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৮৯ সালেই তৎকালীন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রধান অশোক সিঙ্ঘল স্থপতিবিদ চন্দ্রকান্ত সোমপুরাকে মন্দিরের নকশা তৈরি করতে বলেছিলেন। রবিবার, সংগঠনটির তরফে ফের সেই প্রসঙ্গ তোলা দেওয়া হয়েছে। ভিআইচপি-র কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার বলেন, ‘‘সোমপুরার নকশা মতোই মন্দির নির্মাণ হবে বলে আমরা আশা করি।’’ মন্দির নির্মাণ নিয়ে গত তিন দশক ধরেই সাজ সাজ রব ভিএইচপি-র। ১৯৮৯ সাল থেকেই রামমন্দিরের কাঠামো তৈরি করে চলেছে ভিএইপি-র অধীনে থাকা ‘রাম জন্মভূমি ন্যাস’। লক্ষ লক্ষ পাথর কেটে, তার উপর খোদাই করে অযোধ্যার ওয়ার্কশপে ফলক ও স্তম্ভ নির্মাণ করছে তারা। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভিএইপি-র এই নকশা এবং নির্মাণশৈলী মেনে মন্দির তৈরি হলে লেগে যেতে পারে আরও পাঁচ বছর।
শীর্ষ আদালতের রায়ের পর শান্ত অযোধ্যা। অন্য সময় শহরে বিভিন্ন মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভীড় যতটা থাকত এখন তা অনেকটাই কম। রায়ের আগে থেকেই গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার চাদরে। রায়ের পরেও সেই পরিস্থিতি বহাল রয়েছে। এর মাঝেই, শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী ৫ একর জমি নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৬ নভেম্বর বৈঠকে বসছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

আন্তর্জাতিক
সুইস ব্যাঙ্কে কলকাতার একাউন্ট : দাবিদারের হদিস নেই….?
স্বদেশ ডেস্ক: ৬০ বছরের পুরনো ব্যাঙ্ক একাউন্ট। ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয়। সুইৎজারল্যান্ডের সরকার চাইছে, একাউন্টের মালিক বা তাঁর ওয়ারিশ উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করে আমানত দাবি করুন। ২০১৫ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও ভারতীয়দের এমন একাউন্টের ক্ষেত্রে দাবিদার মেলেনি এখনও। ফলে কোনও কোনও একাউন্টের আমানত ডিসেম্বরের মধ্যেই চলে যাবে সুইস সরকারের হাতে। কয়েকটির ক্ষেত্রে তা পরের বছর। এগুলির মধ্যে অন্তত দু’টির মালিক কলকাতার। আছে মুম্বই, দেহরাদূন, এমনকি অনাবাসী ভারতীয়দের অ্যাকাউন্টও।
সুইস সরকার সূত্রের খবর, ১৯৫৫ বা তারও আগে থেকে যে সব একাউন্টের কোনও দাবিদার নেই ও যেখানে অন্তত ৫০০ সুইস ফ্রাঁ রয়েছে, সেগুলির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে ২০১৫ সাল থেকে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২৬০০ একাউন্টের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আমানতের মোট অঙ্ক ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। পরবর্তী চার বছরে একাউন্টের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৫০০। এগুলির মধ্যে ১০টি ভারতীয়দের। এর মধ্যে একাউন্ট হোল্ডার হিসেবে নাম রয়েছে লীলা তালুকদার ও প্রমথ এন তালুকদারের। নাম আছে চন্দ্রলতা প্রাণলাল পটেল, মোহন লাল ও কিশোর লালের। কিন্তু আমানত চেয়ে কেউ দাবি না করায় কয়েক দিনের মধ্যেই তা হতে চলেছে সুইৎজারল্যান্ডের সম্পদ। তবে পাকিস্তান-সহ কয়েকটি দেশের কিছু একাউন্টের দাবিদার মিলেছে।
বহু বছর ধরেই সুইস ব্যাঙ্কের একাউন্ট রাজনৈতিক স্তরে চর্চার বিষয়। চলেছে দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপের পালা। দেশে কর ফাঁকি দিয়ে সুইস ব্যাঙ্কে রেখে দেওয়া টাকা অনেক দিন ধরেই ফেরাতে চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আমানতকারীদের একাউন্টের গোপনীয়তা অনেকটাই কমিয়েছে সুইস সরকার। বেশ কয়েকটি দেশের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও নাগরিকদের একাউন্টের তথ্য সরবরাহের চুক্তি হয়েছে তাদের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877