আরও একবার মাঠে দেখা গেল মেসি ম্যাজিক। ইন্টার মায়ামির প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে প্রাণ ফেরালেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তার একটি গোল ও আরেকটি অ্যাসিস্টে ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র করে মায়ামি।
রবিবার বাংলাদেশ সময় সকালে মেজর লিগ সকারে ঘরের মাঠে ফিলাডেলফিয়া এগিয়ে যায় সপ্তম মিনিটেই। কাই ওয়্যাগনার কর্নার থেকে আলতো করে বল দেন ছুটে আসা কুইন সালিভানকে। বক্সের ডান কোনা থেকে দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান ২১ বছর বয়সী উইঙ্গার।
৪৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন হয় ফিলাডেলফিয়ার। বক্সের ভেতর জটলার ভেতর থেকে মায়ামির চারজনের মাঝ দিয়ে শট নিয়ে বল জালে পাঠান ফিলাডেলফিয়ার ফরোয়ার্ড তাই বারিবো।
মায়ামি দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায়। একটি গোল ফিরিয়ে দিতে পারে তারা ৬০তম মিনিটে। নোয়াহ অ্যালেনের মাপা ক্রসে হেড থেকে গোল করে তাদেও আইয়েন্দে। দুই মাস পর গোলের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গার।
তবে ৭৩তম মিনিটে আবার দুই গোলের ব্যবধান গড়ে ফিলাডেলফিয়া। খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বারিবো। যদিও তার গোলটি অফসাইড ছিল কি না, এই প্রশ্ন তোলা যায়। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ‘টাইট কল।’
লিওনেল মেসির জাদু তখনও পর্যন্ত তেমনটা দেখা যায়নি। ৮৭তম মিনিটে ফ্রি-কিক পেল ইন্টার মায়ামি। বক্সের বাইরে থেকে গোলকিপারের ডান দিকে মাপা শট নিলেন লিওনেল মেসি। গোলকিপার অনেকটা ডানে চেপে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই প্রান্তেই। কিন্তু বলে হাত ছোঁয়ালেও ঠেকাতে পারলেন না। ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘হোয়াট আ স্ট্রাইক… মেসি-ম্যাজিক…!’
৯৪তম মিনিটে ফিলাডেলফিয়ার ইয়োভান লুকিচের শট উস্তারির হাত ছুঁয়ে গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়। এর পরপরই মায়ামির সমতায় ফেরা সেই গোল। মেসির আলতো করে বল দেন সেগোভিয়াকে। মূল কৃতিত্ব ভেনেজুয়েলার এই মিডফিল্ডারের। বক্সের মাথা থেকে দারুণ শটে গোল করেন ২২ বছর বয়সী ফুটবলার।
এই গোলেই গত আট ম্যাচের মধ্যে ষষ্ঠ পরাজয় থেকে রক্ষা পায় মায়ামি। ১৪ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় ছয়েই থাকলেন মেসিরা। ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিলাডেলফিয়া।