পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল লাহোর কালান্দার্সে এক বাংলাদেশি এলেন, আরেকজন গেলেন। সংঘাতের পর পিএসএল ছেড়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। আর টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এসে সাকিব আল হাসানকে দলে টেনেছে লাহোর। তবে দুই বছর পর পিএসএলে ফিরে ম্যাচটি রাঙাতে পারেননি সাকিব।
গতকাল রাতে সাকিব ব্যর্থ হলেও তার দল লাহোর জিতেছে বাবর আজমদের দল পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে। এই ম্যাচের সমীকরণ ছিল, যারা জিতবে, তারাই খেলবে প্লে-অফে। এমন ম্যাচে পেশোয়ারকে ২৬ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করল সাকিবের দল। প্রথম এলিমিনেটরে খেলতে হবে তাদের।
বজ্র-বৃষ্টির কারণে এদিন ম্যাচ নেমে এসেছিল ১৩ ওভারে। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৩ ওভারে করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে লাহোর। জবাব দিতে নেমে ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৩ রানে থামে পেশোয়ার। প্রথমে ব্যাট করা লাহোরের হয়ে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করে আউট হন ফখর জামান।
প্লে-অফে লাহোর কালান্দার্স। ছবি: সংগৃহীত
সাকিব ব্যাটিংয়ে নামেন ১১তম ওভারের শেষ বলে। তার মুখোমুখি হওয়া প্রথম ডেলিভারিটি ওয়াইড হয়। তবে আহমেদ দানিয়ালের করা ওভারের শেষ বলেই আউট হন সাকিব। স্লোয়ার বলটি ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে চান এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তবে তালগোল পাকিয়ে ফেলায় বল আঘাত হানে মিডল স্টাম্পে। পরে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙার ভঙ্গি করলেও নিজেকে শেষ পর্যন্ত নিবৃত্ত করেন সাকিব। ৪৪৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩১তম বার শূন্যের দেখা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে যৌথভাবে যেটি সর্বোচ্চ।
বল হাতেও এদিন উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন তিনি। তার আগে ৪ ওভারে ৩৫ রান করে পেশোয়ার। বোলিংয়ে এসে ওভারে মাত্র ৫ রান দেন তিনি। তবে দশম ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে হতাশ করেন এক সময়ের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। টানা দুটি ছক্কা হজম করে দেন ১৩ রান।