ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলা চলছেই। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় একশো।
আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকাশে ড্রোন ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের শব্দে ঘুম নেই তাদের। পরিবারগুলো তাদের সদস্যদের জন্য খাবার নিশ্চিত করতে পারছেন না। শিশুদের খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের সন্তানরা দিনপার করছে ক্ষুধার্ত অবস্থায়।
এদিকে হামাস বলেছে, বন্দী মুক্তি যুদ্ধবিরতি আলোচনার দিকে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ ছাড়া মানবিক সাহায্যের প্রবেশ এবং গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের লক্ষ্য পূরণের পথও তৈরি হচ্ছে। তবে গাজা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং এই উপত্যকায় ৫ লাখ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পর মার্কিন-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক এবং দখলদার বাহিনীর সেনা সদস্য এডান আলেকজান্ডারকে গাজার বন্দীদশা থেকে মুক্তি দেয় হামাস। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের তিন দিনের সফরের আগে এই মুক্তি দেওয়া হয়।
যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে মধ্যস্থতাকারী পাঠাবেন তিনি। এমন সিদ্ধান্ত এবং আলেকজান্ডারের মুক্তির পরেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা করেছে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ইসরায়েলকে গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৬০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৭৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।