স্বদেশ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় কৃষক মতিউর রহমান হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে প্রত্যককেই দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই মামলা থেকে অপর পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মোহাম্মদ ওরফে খোকন (৪৩)। তিনি কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাচলীপাড়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে। মামলায় তৈয়বুর রহমানকেও (৬০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, খোকনের দুই ভাই সম্রাট (৩০) ও রোমান (৩৬), একই এলাকার আশরাফ আলী ওরফে আসক আলী (৪৮), আরব আলী (৩২) ও মজিবুর রহমান (৪৩)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রেলওয়েতে চাকরি দেয়ার কথা বলে মামলার আসামি পাচলি গ্রামের তৈয়বুর রহমান একই এলাকার মতিউর রহমানের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে তৈয়বুরের সাথে মতিউর রহমানের বিরোধ বাঁধে। ২০১১ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় ভ্যানগাড়িতে করে বাড়ি যাওয়ার পথে পাচলীপাড়া এলাকায় তৈয়বুর তার ছেলেরা ও অন্য আসামিরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মতিউর রহমানকে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মতিউর রহমানকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো: রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে পর দিন কটিয়াদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ অক্টোবর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।