বারের বিশ্বকাপেও দেখা দিয়েছে আম্পায়ারিং বিতর্ক। আর সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে ক্যারিবীয়ান ওপেনার ক্রিস গেইলকে। ম্যাচে ৪ বার রিভিউ নিয়ে পার পেয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। তবে সব বিতর্ককে ছাড়িয়ে গিয়েছে গেইলের উইকেট।
ইংল্যান্ডের নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে।
ক্রিস গেইল ও ক্রিস গেফেনির মধ্যে মিল আছে। দুজনের নামের প্রথম অংশই ‘ক্রিস’। তবে এই দুই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব এবার আরও একভাবে মিলে গেছেন এক বিন্দুতে। সেটি একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে!
ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে গেইলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে বলেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। সাথে সাথে আউটও দিয়ে দেন আপায়ার। পরে রিভিউ নিলেও আম্পায়ার কল হওয়ায় প্যাভিলিয়নে গেইলকে। কিন্তু আগের বলটা আম্পায়ার ভালভাবে দেখলে হয়ত আউট হতেন না এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
গেইলকে আউট করার আগের বলে বিশাল বড় নো বল দেন স্টার্ক। পপিং ক্রিজের দাগ থেকে পা অন্তত চার ইঞ্চি বাইরে ছিল এই বোলারের। কিন্তু এতো বড় নো টা চোখেই পড়লো না আম্পায়ারের। চোখে পড়লে পরের বলটা ফ্রি হিট হতো নিশ্চিত। আর সেই কারণে এলডব্লিউর ফাঁদে পড়লেও আউট হতে হতো না গেইলকে।
কিন্তু আম্পায়ার গেফেনি গেইলকে আউটের সংকেত দেন। কারণ আগের বলে স্টার্কের করা পরিষ্কার ওভার স্টেপিং এড়িয়ে গেছে তার চোখ!
এর আগেও গেইলের বিরুদ্ধে দুইবার ভুল সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। বোলারও সেই স্টার্ক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পঞ্চম বলটি গেইলের ব্যাটে পাশ কাটিয়ে চলে গেলে আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া। আম্পায়ার সাথে সাথেই তুলে দেন আউটের আঙুল। দেরি না করে রিভিউ নেন গেইল। সেখানে দেখা যায় বল ব্যাটে লাগেইনি।
ওভারের শেষ বলেও একই কান্ড। স্টার্কের দুর্দান্ত এক ইয়র্কার সরাসরি গিয়ে লাগে গেইলের প্যাডে। আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই আবার রিভিউ নেন গেইল। সেখানে দেখা যায় বল স্ট্যাম্পে না লেগেই অনেক বাইরে চলে যায়। ফলে একই ওভারে দ্বিতীয়বার বেঁচে যান গেইল।