শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গাদের আর আশ্রয় দিতে পারবে না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকা নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকে স্থান দিতে পারবে না বলে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে যেসব দেশ ও সংস্থা আরো রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণের সুপারিশ করবে, তাদেরকেই এই বোঝা ভাগ করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউএনএইচসিআর’কে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের পক্ষে আর রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়।’

তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। উপদেষ্টা ইঙ্গিত করেন, মানবিক কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।

তিনি বলেন, যারা আমাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে আসে বা যারা আমাদের পরামর্শ দিতে চায়, তারা যেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায়।

তৌহিদ হোসেন আরো উল্লেখ করেন, সরকার যেখানে সম্ভব সেখানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে, যদিও মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে সিল করা একটি চ্যালেঞ্জ।

গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র সংঘাত থেকে বাঁচতে প্রায় আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সিল করে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করলেও সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত করা কঠিন বলে স্বীকার করেন তৌহিদ হোসেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের পরে এসেছে। এ ঘটনাকে জাতিসঙ্ঘ ‘জাতিগত নির্মূলের সুস্পষ্ট উদাহরণ’ বলেছে এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠী এটিকে ‘গণহত্যা’ বলেও অভিহিত করেছে।

মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হলেও, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে দুইবার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও দেশে ফেরত যায়নি।

সূত্র : বাসস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ