স্পোর্টস ডেস্ক:
অপেক্ষার অবসান। ভারতীয় ক্রিকেটে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু ‘দাদার’। বুধবার মুম্বইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব নিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। জানিয়ছেন, আগামী দশ মাসের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন মহারাজ।
গত কয়েক বছর ধরে নানা ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে বিসিসিআই। এমন পরিস্থিতিতে তাই বোর্ড সভাপতির পদে আসিন হওয়ার আগেই কাজের একটি প্রাথমিক তালিকা বানিয়ে ফেলেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। বুধবার মসনদে বসে বৃহস্পতিবার থেকেই সেসব কাজ শুরু করে দিচ্ছেন তিনি। আগামীকালই জাতীয় নির্বাচক এবং বিরাট কোহলির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তার। সেখানেই মহেন্দ্র সিং ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে হবে আলোচনা। ধোনিকে নিয়ে দলের অবস্থান এবং ধোনির ইচ্ছা, সবকিছুই জানবেন সৌরভ। তারপর নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও আলোচনা করবেন। কীভাবে এগোবে দল, সে নিয়েও রোডম্যাপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
সৌরভ গাঙ্গুলি আগেই জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের সার্বিক উন্নতি চাইলে শুধু জাতীয় নয়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার। সেই প্রেক্ষাপটে রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এখানেই শেষ নয়, আইসিসির বৈঠকে বোর্ডের হয়ে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন, সেসব নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন দাদা। ক্রিকেটে বিসিসিআইয়ের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি আয় আইসিসির। সেক্ষেত্রে ভারতের প্রাপ্যও বেশি হওয়া উচিত। এনিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন। কীভাবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে চাপ দিয়ে সেই বিষয়টি বাস্তবায়িত করা সম্ভব, এবার সে দায়িত্বও সৌরভের। স্বার্থের সংঘাত বিষয়েও আলোকপাত করবেন তিনি।
সিএবির প্রেসিডেন্ট পদে থাকায় বোর্ড সভাপতি হিসেবে দাদার কার্জকালের মেয়াদ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তারপরই কুলিং অফ পিরিয়ডে চলে যেতে হবে তাকে। তাই দশমাসের মধ্যেই যতটা সম্ভব, কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি।
এদিকে এদিন সচিবের পদে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। সহ-সভাপতি হলেন মহিম ভার্মা। কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধুমল। কেরলের জয়েশ জর্জ হলেন যুগ্ম সচিব।
সূত্র : সংবাদপ্রতিদিন