সারা দেশে পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন হলেও আজ বুধবার রোজা করেছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ২০টি গ্রামের প্রায় এক হাজার দুইশ নারী-পুরুষ। গতকাল মঙ্গলবার ইসলামি ফাউন্ডেশনের ঈদের ঘোষণার পরও আজ রোজা করেন তারা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদ পালন করবেন ওই গ্রামের মানুষরা।
গৌরনদীর বাঙ্গিলা হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মাওলানা আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাদিসে আছে, “চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ পালন করো।” কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির প্রথম ঘোষণা কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ঠিক থাকলেও রাত ১১টার ঘোষণা সঠিক হয়নি। তাই কোরআন ও সুন্নাহতে বিশ্বাস করে আমরা রোজা রেখেছি।’
আবদুল কাদের জানান, আজ মাদ্রাসার সাত শিক্ষক ও আড়াইশ ছাত্রসহ ২৪৫টি পরিবারের সদস্যরা ৩০টি রোজা পূর্ণ করেছেন। ২৫ জন ছাত্র রমজান মাসে ২৫টি জামে মসজিদে ইমামতি করেছেন, তারা ওইসব মসজিদে ঈদের নামাজও পড়াননি। আাগমীকাল তারা ঈদের নামাজ পড়াবেন এবং ঈদ উদযাপন করবেন।
উপজেলার ধুরিয়াইল, ধানডোবা, নন্দনপট্টি, চাঁদশী, বড় কসবা, চেংগুটিয়াসহ ২০টি গ্রামের মানুষ বুধবার ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন। তার মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররও রোজা পালন করেছেন। থাসময়ে ইফতার করে ৩০ রোজা পূর্ণ করেছেন, আগামীকাল পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে ঈদ উৎসব পালন করবেন তারা।