বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে নির্বাচনে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই, দাবি চরমোনাই পীরের গণতন্ত্রের প্রশ্নে দলগুলোর যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়: তারেক রহমান এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অবহেলায় এসিল্যান্ডদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮ দলকে না জানিয়ে কক্সবাজারে, ৫ নেতাকে শোকজ এনসিপির পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৭৬ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক তারেক রহমানের ১৫ দিন পর মাইলস্টোনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনে ছাত্রদলের নিন্দা, ছাত্রশিবির বলছে ‘কুতর্ক ও মব’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

স্বদেশ ডেস্ক

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নিপীড়ন ও যৌন সহিংসতা নিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রমাণ হাজির করেছে মিয়ানমার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম)।

গতকাল বুধবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা বিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারণা এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যৌন সহিংসতার তদন্ত ও শাস্তি প্রদানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়ে দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা।

জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৮ সালে আইআইএমএম বা মেকানিজম গঠন করে। জাতিসঙ্ঘ মেকানিজমকে ২০১১ সালের পর মিয়ানমারে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের আলামত সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের দায়িত্ব দেয়।

এক বিবৃতিতে আইআইএমএম প্রধান নিকোলাস কউমজিয়ান বলেন,‘এক প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোপন ফেসবুক নেটওয়ার্কের বিবরণ দেয়া হয়েছে। তারা ২০১৭ সালের ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়িয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে মিয়ানমার রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এই কাজগুলোর তদন্ত করা ও শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’

কউমজিয়ান আরো বলেন,‘এই দুই প্রতিবেদন ব্যতিক্রমী ভিত্তিতে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। মেকানিজম যে উপাদান সংগ্রহ করেছে এবং বিশ্লেষণ করেছে তার সিংহভাগ অবশ্যই গোপনীয় থাকতে হবে।

প্রথম প্রতিবেদনে মেকানিজমের বিশ্লেষণে ফেসবুকের পেজগুলোতে ১০ হাজারের বেশি পোস্ট শনাক্ত করা হয়েছে, যেগুলোকে মেকানিজম ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে। এরকম একটি পোস্টে রোহিঙ্গাদের গুলি করে হত্যা বা স্থায়ীভাবে মিয়ানমার থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়ে ২০০টির বেশি কমেন্ট পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ব্যাপক সহিংসতার সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সমন্বিত ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচারণা চালাচ্ছিল।

দ্বিতীয় প্রতিবেদনে উপসংহারে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের তদন্ত ও শাস্তি প্রদানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি বিষয়ক কনভেনশনের অধীনে মিয়ানমারের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন হতে পারে।

আইআইএমএম আর্জেন্টিনার আদালতের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আইসিসির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আইসিজে আন্তর্জাতিক আদালত এবং আর্জেন্টিনার আদালতে প্রমাণ পাঠিয়েছিল।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ