স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আজ দেশে কোনো ছাত্ররাজনীতি নেই বলেই ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা হচ্ছে। আজ যদি ছাত্ররাজনীতি থাকতো তবে তা বন্ধের কথা উঠতো না। তাই ছাত্ররাজনীতির নামে যে অপরাজনীতি হচ্ছে সেটা বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি নয় ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা আমাদের আত্মহত্যার সামিল।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে এ দেশের ইতিহাসের দিকে দেখলে আমরা দেখি ছাত্ররাই দেশের প্রত্যেকটা পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং আগামী প্রজন্মের ছাত্ররাই দেশের সকল প্রয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তাই আমি বলব, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করে ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ করা উচিত।’
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব ভিসিরা আছেন আমাদের ছাত্ররা তাদের পদত্যাগ চায়। কিন্তু তারা দেহ ত্যাগ করলেও পদত্যাগ করবে না।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিদের উদ্দেশ করে আরো বলেন, ‘যে আয় হয়, বরকত হয়, পদত্যাগ করলে সেটা তো আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং বরকতের দিকে যাদের নজর বেশি তাদের একটু লাজ-লজ্জা কম। তাই তারা দেহ ত্যাগ করলেও পদত্যাগ করবে না।’
গয়েশ্বর আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এতগুলো চুক্তি কিভাবে রাষ্ট্রের জনগণকে না জানিয়ে করলেন। আমার ধারণা ছিল প্রধানমন্ত্রী দেশে এসে বলবেন, যে আমি ভারতে গিয়েছিলাম বেড়াতে সেখানে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাকে জোর করে চুক্তিগুলোর সই করে নিয়েছেন। একথা বললে অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতো দেশের মানুষ।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান রেজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।