বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন

বিজেপির শর্তে রাজি হয়েই বোর্ড প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সৌরভ?

বিজেপির শর্তে রাজি হয়েই বোর্ড প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সৌরভ?

স্পোর্টস ডেস্ক:

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে শুরুতেই নজর দিতে চান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রোববার রাতে নাটকীয় ভাবে বিসিসিআই-এর রাজ্য সংস্থাগুলোর বেসরকারি বৈঠকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার নামে পড়েছে সিলমোহর। আর এটাকে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন তিনি।

সৌরভ সোজাসুজি বলেছেন, ‘বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই সময়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারায় খুশি। কিছু করার জন্য দারুণ সুযোগ পেয়েছি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হোক বা অন্য ভাবেই হোক, এটা মস্ত বড় দায়িত্ব। কারণ, বিসিসিআই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্থা। ভারত হল ক্রিকেটের পাওয়ারহাউস। এই দায়িত্ব তাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং।’

সোমবারই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন। এখনো পর্যন্ত যা খবর, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেই পড়তে হচ্ছে না সৌরভকে। কারণ, শেষ পর্যন্ত সমস্ত রাজ্য সংস্থা সর্বসম্মতভাবে তাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিয়েছে রোববার রাতের সভায়।

এক সময় ব্রিজেশ পটেলই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু নাটকীয় ভাবে মোড় ঘুরিয়ে দেন সৌরভ। জল্পনা চলছে বিজেপির হয়ে প্রচারের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েই কি হাওয়া নিজের দিকে ঘুরিয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক? ২০২১ সালের নির্বাচনে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাকেই কি তুলে ধরতে চাইছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ? সৌরভ যদিও এহেন জল্পনাকে স্রেফ গ্যালারিতে পাঠিয়েছেন। সাফ বলেছেন, ‘একেবারেই এমন কিছু নয়। কেউই এই ব্যাপারে আমাকে কিছু বলেনি।’ অর্থাৎ, বিজেপির হয়ে প্রচারের সম্ভাবনার তত্ত্বকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার সাথে জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়াকেও তুলনা করতে চাননি সৌরভ। তার মতে, ‘দেশের অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারই আলাদা। সেটার সাথে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। তবে আমি কখনো ভাবিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে পারব।’

বোর্ডমহলে যদিও ফিসফাস চলছে যে, প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়া অন্য কোনো পদে আগ্রহী ছিলেন না তিনি। এ ব্যাপারেই নয়াদিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সাথে কথাও হয় তার।

লোঢা সংস্কার অনুসারে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবশ্য এক বছরও পাচ্ছেন না সৌরভ। এর আগে সিএবিতে গত পাঁচ বছর পদাধিকারী ছিলেন তিনি। ফলে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ক্রিকেট প্রশাসন থেকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে তাকে। সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকলেও তাকে জুলাইয়ের পর সরে যেতে হত। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়েও তাই করতে হবে। কারণ, টানা ছয় বছর বোর্ড বা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার এক বা একাধিক পদে থাকা যাবে না লোঢা সংস্কার অনুসারে।

সৌরভ বলছেন, ‘এটাই নিয়ম। আমাদের সেটা মেনে নিয়েই চলতে হবে। আমার প্রথম কাজ হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে নজর দেয়া। এর আগে এই ব্যাপারে সিওএ-কে অনুরোধও করেছিলাম। কিন্তু ওরা শোনেনি। রঞ্জি ট্রফির দিকেও ফোকাস থাকবে। ক্রিকেটারদের আর্থিক স্বার্থের ব্যাপারটা দেখতে হবে।’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877