শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধ…..???

কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধ…..???

স্বদেশ ডেস্ক: যুদ্ধ জিগির ছড়ানো হচ্ছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও! এতদিন দেশের শাসক গোষ্ঠীর শীর্ষস্তরের নেতারা এই উসকানিতে দক্ষতা দেখাচ্ছিলেন। শুক্রবার সেনাবাহিনীর নর্দান কমান্ড প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং দাবি করলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে ৫শ’রও বেশি সন্ত্রাসবাদী অপেক্ষা করছে। এর জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকার সুযোগ খুঁজছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতে আরও ২শ’-৩শ’ সন্ত্রাসবাদী জম্মু-কাশ্মীরের পশ্চাদভূমিতে সক্রিয়ভাবে বিচরণ করছে এদেশে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে। তবে কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তা গোপনীয়তা রক্ষার অজুহাতে জানাতে চাননি সেনা অফিসার। আবার ৩৭০ধারা বিলোপের পক্ষে জোরালো সওয়াল করতেও পিছপা হননি রণবীর সিং। তাঁর দাবি, ওই ধারা বিলোপের পর থেকেই অনেকটাই শান্তি ফিরে এসেছে কাশ্মীর উপত্যকায়। ওখানকার পরিস্থিতি এখন বেশ নিয়ন্ত্রণেই। এর সপক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে তিনি বলেন, আগের তুলনায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম কমে গিয়েছে। পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও কমেছে। এমনকি প্রতিবাদী মিছিলও তেমন চোখে পড়ে না যাতে একসময় বিপুল পরিমাণ মানুষ অংশ নিতেন। কিন্তু এখনও যতটুকু টালমাটাল অবস্থা তা ওই পাকিস্তানের মদতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার জন্যই। এদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই ওদের লক্ষ্য। সম্প্রতি যেমন ড্রোন পাঠিয়ে হামলা চালানোর নতুন ছক কষছে পাকিস্তান। তবে বুক ফুলিয়ে সিং জানিয়ে দেন, উপত্যকাকে অশান্ত করার যেকোনও চেষ্টাই উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনী বা সরকারের তরফে যাই দাবি করা হোক না কেন, এক শীর্ষ সিআরপিএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কাশ্মীরে মাত্র ৪০টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ জুন মাস পর্যন্ত এই হিসাব। অথচ ৫ আগস্ট ৩৭০ধারা অবলুপ্তির পর থেকে দুই মাসে ৩০৬টি ঘটনা ঘটেছে পাথর ছোঁড়ার। গড়ে দিনে পাঁচটি করে। মনে রাখা প্রয়োজন, বজ্র কঠিন নিরাপত্তা এবং বিধিনিষেধের মধ্যেই মানুষ এই প্রতিবাদ, বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। যখন টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট সব বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ৪০০০’র মতো রাজনৈতিক নেতা, কর্মীকে আটক করে রাজ্যের এবং ভিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলে তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে। অমিত শাহের ‘কোনও বুলেট চালানো হয়নি এবং কোনও মৃত্যু হয়নি’ দাবির পরেও একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তাও দাবি করা হচ্ছে, কাশ্মীর ‘শান্তিপূর্ণ’ এবং ‘স্বাভাবিক’ রয়েছে। এদিকে বহুদিন পর কাশ্মীর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সরকারি ঘোষণা সত্ত্বেও এখনও জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি উপত্যকায়। কেন্দ্রীয় সরকারের ফতোয়ার পর ৬৮দিনের মাথাতেও কাশ্মীরের রাস্তা শুনশান, দোকানপাট, বাজার বন্ধ। পথেঘাটে কোনও সরকারি পরিবহণও চোখে পড়েনি। নামমাত্র বেসরকারি গাড়ি চলাচল দেখা যায় শ্রীনগরের রাস্তায়। স্কুল-কলেজ এখনও খোলেনি। এদিন শুক্রবার থাকায় নমাজ পড়ার জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল শ্রীনগর শহর-সহ কাশ্মীরে। আবার শ্রীনগর সহ কাশ্মীরের সর্বত্রই গত দু’মাস যাবৎ বড় বড় মসজিদগুলিতে নমাজের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। প্রশাসনের আশঙ্কা, এই প্রার্থনাকে ঘিরে হয়তো বড় ধরনের বিক্ষোভ, অশান্তি ঘটে যেতে পারে। মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধ। মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে দু’মাস যাবৎ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877