স্বদেশ ডেস্ক: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দূর্জয়পুর গ্রামের ভূবনধোয়া খাল ও নাগরকান্দি গ্রামের কোপাইগঙ্গা খাল পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত সাধারন মানুষ, শিক্ষার্থী, কৃষক এই সাঁকো দিয়ে খাল পার হচ্ছেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, নাগরকান্দি গ্রামের কোপাইগঙ্গা খালে এবং দূর্জয়পুর গ্রামের ভূবনধোয়া খালের ওপর অনেক আগে থেকেই এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকোটি নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করে। প্রতিদিনই শত শত মানুষের পারাপার সাঁকো দিয়ে। এপারে কৃষকদের ওপারে জমি চাষ, ফসল আনা-নেয়া করতে ব্যাপক সমস্যা হয়। বর্ষাকালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় স্কুলশিার্থী সহ কৃষকদের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই বাঁশের সাঁকোই চলাচলের একমাত্র ভরসা।
দূর্জয়পুর গ্রামের কৃষক মফিজার রহমান বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দূর্জয়পুর গ্রামের কৃষকদের অধিকাংশ ফসলি জমি খালের ওপারে। প্রতিবছর বোরো মৌসুম, রবিশস্য সহ সকল ধরনের ফসল আনা-নেওয়া নিয়ে পুরো গ্রামের মানুষকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় একটি ব্রীজের অভাবে।
সংশ্লিষ্টদের বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। সবাই শুধু আশ্বাস দেয় কেউ কাজ করে না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আবু তাহের জানান, ওই দুটি স্থানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরপরে ওই মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করবে। পরবর্তিতে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।