স্বদেশ ডেস্ক:
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘ই’তে শক্তিশালী কাতারের কাছে ২-০ গোলের আক্ষেপ ভরা এক হারে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে বাছাইপর্বের দুই ম্যাচেই হার দেখল জেমি ডের শিষ্যরা।
তবে ম্যাচ হারলেও সাধ্যমতো লড়াই করেছে জেমি ডের শিষ্যরা।বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হওয়াতে বৃষ্টি বাদলেও গ্যালারি পূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম।
বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে শুরু থেকে বাংলাদেশ ডিফেন্স জমাট রেখে খেলতে থাকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাবীব নেওয়াজ জীবনকে সামনে রেখে বাকিরা নিজেদের অর্ধে রক্ষণ অটুট রাখতে ব্যস্ত ছিল। আর ফাঁকে ফাঁকে ছিল প্রতি আক্রমণে উঠে যদি গোল করা যায়। তবে তাদের এই ফর্মূলা কাজ করেছে মাত্র ২৭ মিনিট পর্যন্ত। লম্বা থ্রো-ইনের জন্য সুনাম আদায় করা রায়হান হোসেন এই ম্যাচে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন ভালোভাবে। তাই প্রথম সুযোগটা পায় বাংলাদেশই। কিন্তু ৯ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো-ইন থেকে ইয়াসিন ঠিকমতো হেড নিতে পারেনি।
অপর দিকে ভারি মাঠে কাতার সাবলীল ফুটবল খেলতে পারছিল না।তবে আক্রমণে এগিয়ে থেকে বার বারই স্বাগতিকদের ডিফেন্সের পরীক্ষা নিয়েছে। ১৫ মিনিটে বাসাম হুসামের ফ্রি-কিক ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান হেডে ক্লিয়ার করেন। এমন আক্রমণে গিয়ে ২৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় কাতার। বক্সের ভিতরে আনমার্কড ইউসুফ আব্দুরিসাগ প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন। এক গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশও গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। ৪৩ মিনিটে রায়হানের থ্রো-ইন থেকে পর পর দুটি প্রচেষ্টা জটলা থেকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা ফিরিয়েছেন গোল লাইন থেকে।
বিরতির পর এক পর্যায়ে বাংলাদেশ মুহুর্মুহু আক্রমণ শাণায় প্রতিপক্ষের রক্ষণে। ৭০ মিনিটে জীবনের জায়গায় সুফিল নামলে আক্রমণে তেজ বাড়ে বাংলাদেশের। পরের মিনিটে সোহেল রানার ক্রসে ইয়াসিন দুর্বল হেড করলেও তা গ্রিপে নিয়ে নেন গোলকিপার।
৭৮ মিনিটে ইব্রাহিমের কাটব্যাকে বিপলুর শট ক্রস বারের পাশ দিয়ে গেলে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো দর্শক হতাশ হন। খেলার ধারার বিপরীতে ইনজুরি সময়ে কাতার অবশ্য দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেয় আনায়াসে। জটলা থেকে করিম বৌদিফ গোলকিপার রানাকে পরাস্ত করেন।
আগামী ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে, কলকাতায়।