শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফোর্বসের তালিকায় ৯ বাংলাদেশি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিইডি বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ বহাল ফের আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় উপজেলা নির্বাচন জনগণের সাথে প্রতারণা করার নির্বাচন : রিজভী মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক
ভরা মৌসুমেও শীতকালীন সবজির দাম চড়া

ভরা মৌসুমেও শীতকালীন সবজির দাম চড়া

স্বদেশ ডেস্ক:

ভরা মৌসুমেও শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে লাগামহীন দামে। এছাড়া উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল। চলতি সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের অধিকাংশ সবজির দামই বেড়েছে।

বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর আমদানি অনেক থাকলেও দাম কমছে না। ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু, পুরাতন আলুও অনেকটা একই দাম। একইভাবে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া পাকা টমেটোর কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৬০-৭০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৩০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থানভেদে কাঁচামরিচ ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ ১০০ টাকা, কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০-৫০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ টাকা। স্থানভেদে ফার্মের মুরগী কিছুটা কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি প্রকার ও স্থানভেদে ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস দাম কমে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে মাছের দাম স্থানভেদে অনেকটা আগের সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল আছে। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর মহাখালীর বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা উজ্জল বিশ্বাস বলেন, ‘বাজারে আসলে অতিরিক্ত দামের কারণে কোন মাছই কেনা যায় না। গরিবের মাছ তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, চাষের কই’য়ের দামও চড়া।’

মগবাজারে মুদি পন্য কিনতে আসা ক্রেতা সোহাগ গাজী বলেন, ‘ইদানীং বাজারে এলে পকেট খালি হয়ে যায় কিন্তু সব কিছু কেনা হয় না। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা মাছ-মাংস আগের তুলোনায় কম কিনতে বাধ্য হচ্ছে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877