স্বদেশ ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘আমেরিকা ফিরে এসেছে’- এমন শপথ নিয়ে প্রায় তিন বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার প্রশাসন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় আমেরিকার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
যুদ্ধ থামানোর আহ্বানে আগের দু’টি প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পরে শুক্রবার কঠোর আলোচনার পর দুর্দশাগ্রস্ত গাজা উপত্যকার জন্য মানবিক সহায়তার বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের অপর একটি প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্টের অনাস্থা দেশটিকে আরো বেশি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জাপানের মতো কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে আলাদা হয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মিত্র দেশগুলো এই প্রস্তাবে সমর্থন দিলেও যুক্তরাষ্ট তা থেকে বিরত থেকেছে। অথচ তাদের সাথে যোগ দিয়েছে রাশিয়া।
এক সপ্তাহ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাত্র দুই ইউরোপীয় অংশীদার, অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে সাধারণ পরিষদের পূর্ণ অধিবেশনে যোগ দেয় এবং ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার ফলে সৃষ্ট যুদ্ধে বিরতির আহ্বানের বিরুদ্ধে এশিয়ান মিত্রদের কেউই ভোট দেয়নি।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের মার্কিন ও আমেরিকা প্রোগ্রামের পরিচালক লেসলি ভিনজামুরি বলেন, বেশিরভাগ ইউরোপীয় নীতিনির্ধারক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা উঠলে রাশিয়ার আগ্রাসনেরর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি বাইডেনের জোরালো সমর্থনের কথা মনে করেন।
লেসলি ভিনজামুরি বলেন, বিষয়টি এখন বিশ্বের বাকি অংশে যেভাবে ভাবছে তা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলিদের বিষয়ে চিন্তা করে, ইউক্রেনীয়দের বিষয়ে চিন্তা করে, তবে দুর্ভাগ্যবশত, বাদামী মানুষের (যাদের গায়ের রং সাদা নয়) ব্যাপারে সত্যিই চিন্তা করে না। তিনি বলেন, এ জাতীয় আখ্যান তারা আপত্তি হিসেবে নিচ্ছে।’
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের নেপথ্যের চাপ ফল দিচ্ছে। ইসরাইল জ্বালানি, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার ও গাজায় ক্রসিং খোলার বিষয় এগিয়ে যাচ্ছে।
গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক মুনকিথ দাঘের বলেন, গত মাসে আরব জনসাধারণের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, মাত্র ৭ শতাংশ বিশ্বাস করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। সূত্র : বাসস