সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে বড় বন্যার আশঙ্কা রাজধানীতে হাসপাতালের প্রাইভেটকারে মিলল ২ জনের লাশ মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউই ছাড় পাবে না: চিফ প্রসিকিউটর নির্বাচনে মোতায়েন থাকবে ৮০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : হাসিনার পৃথক ৩ মামলায় ‎বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ নিউইয়র্কের মুসলিম মেয়র প্রার্থী: আমি হবো ট্রাম্পের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন ইহুদি সংগঠন জিউইশ ভয়েস ফর পিসের প্রতিবাদে উত্তাল নিউইয়র্ক পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যা: দুই পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল সুদানে অপুষ্টিতে এক সপ্তাহে ৬৩ জনের মৃত্যু, অধিকাংশই নারী ও শিশু

রবিউল আলম রবিসহ বিএনপির ১০৯ জনের কারাদণ্ড

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্বদেশ ডেস্ক:

নাশকতার অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা ৬টি মামলায় এসব রায় দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পৃথক তিনটি আদালত।

২০১৮ সালে ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় রবিসহ ২২ নেতাকর্মীকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্যরা হলেন- হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মানিক, ধানমন্ডি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, হাজারীবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান মজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন, হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুর রহমান শিবলু।

এদিকে রাজধানীর উত্তরখান থানায় ২০১৮ সালে দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ৬৭ জনকে দুই বছর এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া ২০১৮ সালে কামরাঙ্গীরচর থানায় হওয়া নাশকতার মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে দুই আসামি মো: নাঈম (৪২) ও মো: গাফফারকে (৪৩) তিন ধারায় ৪ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপর তিন আসামি- জাবেদ, শহিদুল হক ও মো: আইয়ুবকে এক বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় মিছিল করে বিএনপি। মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে ঘটনার দিনই কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মে উপ-পরিদর্শক মো. আহসান হাবীব ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

গুলশান থানার মামলায় ১৫ জনের কারাদণ্ড
দশ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় হওয়া নাশকতার এক মামলায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।

হাজারীবাগ থানার মামলায় ২৮ জন খালাস
হাজারীবাগ থানায় করা নাশকতার এক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত ২৮ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় দেন। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক লন্ডন চৌধুরী।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ