স্বদেশ ডেস্ক:
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা নেই এ চিত্রনায়িকার।
আজ সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা মাহির আবেদন মঞ্জুর করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ রায় ঘোষণা করেন।
শুনানির সময় মাহির সঙ্গে ছিলেন স্বামী রকিব সরকার ও আইনজীবী। তবে আপিলের তথ্যে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে সাংবাদিকদের মাহি বলেন, ‘টেনশনে ছিলাম যে, আমি ন্যায়বিচার পাব কি না। কারণ আমি আমার জায়গা থেকে সৎ ছিলাম। আজকে সেটারই আসলে প্রতিদান পেয়েছি। আমি শতভাগ বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে, এই নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। কারণ সেখানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমার এলাকার লোকজনই আমাকে মোটামুটি জোর করে বলেছে যে, আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। কারণ তারা জানে আমি মাঝি, যদিও আমি নৌকা পাইনি। তারা আমাকে নৌকার মাঝি হিসেবেই দেখতে চায়। আমি যাতে বিপুল ভোটে জিতে নৌকার মাঝি হই। এটা তারা আমাকে খুব করে চায়।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, ‘চাপ তো অবশ্যই আছে। আসলে কে চাইবে হেরে যেতে? হার তো আসলে আমরা কেউ পছন্দ করি না, আমরা চাইও না। যে যার জায়গাটা ধরে রাখতে চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি বরাবরই যোদ্ধা। আমি যুদ্ধ করেই আসলে জিতব। এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমেই নির্বাচনটা হবে। রাজশাহী-১ আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে এবং ইনশাআল্লাহ আমি বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়ী হব।’
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহি। এ জন্য মনোনয়ন ফরম তুলে ছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড তাকে বিবেচনায় নেয়নি।
দল মনোনয়ন না দেওয়ায় রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন মাহি। কিন্তু এক শতাংশ ভোটার জালিয়াতির (ভুয়া স্বাক্ষর) অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারপর আপিলের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পান এ নায়িকা।