স্বদেশ ডেস্ক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে এবং পূর্বে ওড়িশার রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৯০-১০০ কিলোমিটার (৫৬-৬২ মাইল) বেগে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আইএমডির প্রধান কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, মঙ্গলবার বিকেলে অন্ধ্র প্রদেশের বাপটলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মিগজাউম।
অন্ধ্র প্রদেশে সরকার সোমবার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষ চার জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওড়িশার পূর্ব রাজ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত আরো তীব্র হতে পারে।
হিন্দু সংবাদপত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তারা অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলীয় এবং নিচু গ্রাম থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। আরো ৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টিতে রাস্তা ও গাড়ি ডুবে গেছে এবং শহরের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। ট্রেন ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের সদস্যরা শহরের নিচু এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে।
রাজ্য সরকার শনিবার জানিয়েছে, নিজস্ব দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী মোতায়েন করেছে তারা। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় পাঁচ হাজার ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেছেন, রাজ্য কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং জনসাধারণকে ঝড়ের প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছেন।
সূত্র : এপি/ইউএনবি