বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিও নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয় : শিক্ষামন্ত্রী

ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিও নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয় : শিক্ষামন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের যেসব ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, তা নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। সেটি করা হচ্ছে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হানি হওয়ার ভয়ে। কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। তারসাথে এখন তো নির্বাচনের মৌসুমে কিছু ঝামেলা থাকেই। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকেন, তাদের উসকানি যুক্ত হয়ে গেছে। অতি ডান ও অতি বামের উসকানিও যুক্ত হয়ে গেছে।’

দীপু মনি বলেন, অতীতে আমাদের শিক্ষকদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণের ফাঁকে বিনোদনের জন্য তাদের অংশগ্রহণে এসব ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো এখন ছড়িয়ে দিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে অপপ্রচার চালাতে নতুন করে এসব ভিডিও তৈরিও করছে।

রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও পাঠাভ্যস উন্নয়ন কর্মসূচির টিম লিডার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রায়োগিক শিক্ষার উপযোগী করে গড়তে হবে। প্রযুক্তির জগতের জন্য প্রস্তুত করতে আমাদের সন্তানদের প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করেও গড়ে তুলতে হবে। তারা যাতে উদ্ভাবন করতে পারে, সেই মনোভাব তৈরি করতে হবে। সে অনুযায়ী আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা একদিনে তৈরি করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। আট শ’র বেশি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করেছি। বিভিন্ন পর্যায়ে পাইলটিং করেছি। ২০১৭ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ১১ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। এখানে পরিবর্তন-পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটা যুগ পার করে এসেছি, যেখানে পরীক্ষার হল থেকে বের হলেই অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করতেন ‘কয়টা প্রশ্ন কমন পড়েছে?’ যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেশি কমন প্রশ্ন বলে দিতে পারতেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে সেরা বলা হতো। আমরা সেই মুখস্তনির্ভর পড়া থেকে বের হতে চাই।

বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানো প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, বই পড়ার অভ্যাসকে আমরা একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে চাই। আমরা প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস কার্যক্রম শুরু করছি। আগামী ১-২ বছরে ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম পৌঁছে দিতে চাই।

অনুষ্ঠানে সারাদেশে ৩১ লাখ বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির আওতায় দেশের তিন শ’ উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব বই বিতরণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ কর্মমসূচি বাস্তবায়ন করছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877