স্বদেশ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটনা এবং একাত্তরের ঘাতকদের পক্ষাবলম্বনকারি নিউইয়র্কের চিহ্নিত কয়েকটি গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস কনফারেন্সে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গত বছর থেকে। এবারও তারা নিষিদ্ধ থাকায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস কনফারেন্সে প্রবেশাধিকার পায়নি। এ নিয়ে সে সময় নিউইয়র্কে অবস্থানরত দুয়েকজন মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সাথে লাগাতার দেন-দরবারের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সম্মতি আদায় করা সম্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
অপরদিকে ২৮ সেপ্টেম্বর টাইমস স্কোয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মারকুইজে সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে (যদিও শেষ মুহূর্তে তার নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়া হয়েছিল) শেখ হাসিনার নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশের নিউজ প্রচার ও সম্প্রচারের দায়িত্ব যারা পেয়েছিল তাদের মধ্যেও নিষিদ্ধ তালিকার গণমাধ্যম ছিল। এ নিয়ে সকলেই ক্ষুব্ধ। এমন বৈপরীত্ব ঘটছে কেন? রাজাকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিতরা কীভাবে নাগরিক সংবর্ধনা সম্প্রচারের সুযোগ পায়-সেটি খতিয়ে দেখা উচিত বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব থেকে এমন লোকজনকে বিতাড়নের দাবিও রয়েছে তৃণমূলে।
জানা গেছে, নিষিদ্ধ গণমাধ্যমের পক্ষাবলম্বন করে নিউইয়র্কে ফ্রিডম পার্টি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের মুখপত্র হিসেবে চিহ্নিত কটি মিডিয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স বর্জনের তামাশা করেছে, যা সুধীজনের ন্যূনতম দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়নি।