শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন

গাজর দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব……..!

গাজর দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব……..!

স্বদেশ ডেস্ক: প্রিয় মানুষকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে নানা রকম পরিকল্পনা করে থাকেন অনেকেই। প্রস্তাবের আগে রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে নেন। লাখ লাখ টাকাও খরচ করেন। মিউজিক, ফুল, বেলুন সব থাকে। তবে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এবার গাজর ব্যবহার করলেন এক ব্যক্তি। এর জন্য তিনি আংটিতে গাজর চাষ করেছেন। অবাক করা এমন কান্ড ঘটিয়েছেন কানাডার জন নেভিল। ছয় বছর ধরে তিনি ড্যানিয়েল নামে এক নারীর সঙ্গে সংসার করে আসছিলেন। তাদের ঘরে এখন দুটি সন্তান। কিন্তু ঘটা করে বিয়ে করা হয়নি তাদের। নেভিল আংটি উপহার দিয়ে বলতে পারেননি ‘আমাকে বিয়ে করবে?’
চার বছর আগে ড্যানিয়েল প্রথম গর্ভবতী হন। তখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি হীরার আংটি কেনেন নেভিল। পশুপালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শাকসবজির চাষ করতেন। তখন তার মাথায় বুদ্ধি আসে, জীবিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রস্তাব করবেন। সেই ভাবনা থেকেই কাজ শুরু করেন। প্রথমে মাটি দিয়ে একটি প্লাস্টিকের বালতি ভরে ফেলেন। বালতির মাঝখানে হীরার আংটিটি রেখে মাটিচাপা দিয়ে দেন। এরপর আংটির মাঝখানে গর্ত করে গাজরের কয়েকটি বীজ বপন করেন। আংটির ওই ফাঁক দিয়েই গাজর বড় হবে বলে অপেক্ষা করতে থাকেন।
চাষের সময় থেকে তিন মাস অপেক্ষা করার পর ঠিক তা-ই হলো। অবশেষে গাজর উঁকি মারল আংটির ভেতর দিয়ে। সেই আংটিসহ গাজর দিয়ে তিনি প্রিয়তমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন।

আন্তর্জাতিক
পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী একসাথে ঠেকাতে চায় হিন্দু-মুসলিমরা…..
স্বদেশ ডেস্ক: আসামের আদলে পশ্চিমবঙ্গেও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী তৈরি হবে কী না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই একটা আশঙ্কা কাজ করছে। যদিও বিজেপি সভাপতি এবং ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কদিন আগেই কলকাতায় আবারও বলেছেন যে হিন্দুদের কোনও ভয় নেই – তাদের একজনকেও দেশ থেকে বার করা হবে না। তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে তবেই এন আর সি হবে ওই রাজ্যে, এটাও বলছেন মি. শাহ সহ দলের নেতারা। তবুও হিন্দুদের মধ্যেই তথাকথিত নিম্নবর্গীয় যারা-সেই দলিত, নমশূদ্র এবং মতুয়াদের একটা বড় অংশ বিজেপি নেতৃত্বের সেই আশায় ভরসা করতে পারছেন না। তারা এখন মুসলিম সংগঠনগুলির সঙ্গে একযোগে পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য এন আর সি প্রক্রিয়ার মোকাবিলা করতে চাইছেন।
সম্প্রতি মতুয়া, দলিত, নমশূদ্র এবং কয়েকটি মুসলমান সংগঠন এন আর সি হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
সেখানে একটি যৌথ মঞ্চ গড়া হয়েছে-যাতে হিন্দু-দলিত-মুসলমান সব সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন। যৌথ মঞ্চের একজন আহ্বায়ক সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সভাপতি মুহম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি বলছিলেন, “একদিকে হিন্দু ভাইরা আতঙ্কে আছেন আসামের অবস্থা দেখে যেখানে লাখ লাখ হিন্দুর নাম এনআরসিতে নেই। তাদের আবার নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে। অনেকেই সেই আশ্বাসে আর ভরসা করতে পারছেন না।” ”আবার মুসলমানরাও আতঙ্কে আছেন একারণে, যে ভূমিপুত্র হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র নথিপত্রে নাম বা পরিচয়ের কোনও সামান্য ভুলের জন্য হয়তো তাদেরও ডিটেনশানে পাঠিয়ে দেবে। সমস্যাটা দুই ধর্মের মানুষেরই। সেজন্যই দুই ধর্মের মানুষই একযোগে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আজ।”
সম্প্রতি মতুয়া, দলিত, নমশূদ্র এবং কয়েকটি মুসলমান সংগঠন এন আর সি হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। যৌথ মঞ্চের আরেক আহ্বায়ক, সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের সহসভাপতি সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “আমরা আর ওই খুড়োর কলের ভরসায় থাকতে রাজী নই। নাগরিকত্ব বিল এনে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে চলে আসা হিন্দুদের প্রথমে শরণার্থী তারপরে নাগরিকত্বের আবেদন জানানোর অধিকার দেওয়ার কথায় আর ভরসা করা যাচ্ছে না।”
”বিজেপি সরকারই তো ২০০৩ সালে ওদেশ থেকে আসা মানুষদের-যাদের বেশীরভাগটাই হিন্দু-তাদের অনুপ্রবেশকারী তকমা দিয়ে দিয়েছে। এখন নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন এনে আমাদের শুধু অনুপ্রবেশকারী তকমা তুলে দিয়ে শরণার্থী বলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
মি. বিশ্বাস আরও বলছিলেন, “নাগরিকত্ব বিল এনে যা করার কথা বলা হচ্ছে, তাতে প্রমাণ করতে হবে যে একজন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, আর দ্বিতীয়ত সেদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অথবা নিপীড়ন হতে পারে এই আশঙ্কায় এসেছেন-সেটাও প্রমাণ করতে হবে। এই দুটো শর্ত কি কারও পক্ষে পূরণ করা সম্ভব?”
তবে বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের অন্যতম নেতা মোহিত রায় বলছিলেন, “এটা একটা সম্পূর্ণ ভুল প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনের কোথাও কোনও প্রমাণের ব্যাপারই নেই।” ‘দ্বিতীয়ত, নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন তো করতেই হবে এটাও বলা আছে যে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ভারতে এসেছেন এরকম হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান-জৈন-পার্শি এরকম মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে! তাই আবেদন করলেই নিশ্চিত ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে কী যাবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু না।’ মি. রায়ের এটাও প্রশ্ন, যে হিন্দুদের আশ্বস্ত করা সত্ত্বেও কারও কোনও বিরোধিতা থাকে, বক্তব্য বা আশঙ্কা থাকে, সেট তারা তুলতেই পারেন, কিন্তু তার জন্য মুসলিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে হাত মেলাতে হবে কেন, সেটা বুঝে ওঠা যাচ্ছে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877