বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে চান প্রোটিয়ারা। হার দিয়ে শুরু হলেও টাইগারদের বিপক্ষে জয় তুলে বিশ্বকাপ মিশনে সঠিক কক্ষপথে ফিরতে চান তারা। সেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস।
ওভালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও আছে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। তবে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলছেন, এটি উত্তেজিত হওয়ার সময় নয়।
ফরম্যাটের কারণে প্রতিটি দলই গ্রুপপর্বে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। সেখান থেকে শীর্ষ চার দল সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। অর্থাৎ এ পর্বে একেকটা দল ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। যে কারণে সুযোগ থাকছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করতে নিজ দলের খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্লেসিস।
তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আছি। আপনারা জানেন সামনে আমাদের আরও ম্যাচ আছে। আপনাকে মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জেগে উঠতে হবে। গেল ম্যাচে তিন বিভাগেই ইংল্যান্ড আমাদের চেয়ে ভালো করেছে। কেন এত ভালো দল সেটি তারা প্রমাণ করেছেন। এখন আমাদের সামনের ম্যাচগুলোর প্রতি নজর দিতে হবে। এটি লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্ট। কোনো ক্ষেত্রে আমরা ভুল করেছি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলের বোলিং আক্রমণ ছিল সুশৃঙ্খল। ডু প্লেসিসের বিশ্বাস, তাদের এখনও অনেক কিছু করার আছে।
ইংলিশদের বিপক্ষে প্রোটিয়া দলের সফল বোলার ছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। ১০ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ধ্বংসাত্মক জস বাটলারের উইকেট। আরেক পেসার কাগিসো রাবাদাও ২ উইকেট শিকার করে নিজের মেধার পরিচয় দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক মনে করেন, এ কারণে বাংলাদেশ চাপে থাকবে। তিনি বলেন, লুঙ্গি চমৎকার অ্যাকশনে ছিল। যেভাবে সে ফিরেছে, সেটি ছিল খুবই সুন্দর। আপানি জানেন জস বাটলারকে আউট করা মানে সম্ভবত বিশ্বের সেরা স্ট্রাইক বোলার ও।
পক্ষান্তরে এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ২০১৫ আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা টাইগাররা এবার আরও ভালো কিছ করতে চাইবেন। এ ছাড়া বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মানসিকভাবে বেশ চাঙ্গা আছেন তারা। এ ছাড়া এই কার্ডিফেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর সুখস্মৃতিও আছে বাংলাদেশের। নিজেদের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে পরাজিত করা মাশরাফিরা এখন বিশ্বের যেকোনো দলকেই হারাতে সক্ষম।
গেল মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া অধিনায়ক মাশরাফি এ ম্যাচের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে না খেলা ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালও সুস্থ হয়ে উঠবেন ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : বাসস।