শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

বিশ্বে যেসব নদীতে স্রোতের সঙ্গে সোনা বয়ে যায়….!

বিশ্বে যেসব নদীতে স্রোতের সঙ্গে সোনা বয়ে যায়….!

স্বদেশ ডেস্ক: নদীর সঙ্গে মানবসভ্যতার সম্পর্ক সৃষ্টির আদিকাল থেকে। নদীকে ঘিরে গড়ে উঠে মানুষের জীবনযাত্রা। পানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, কলকারখানা, নগর গড়ে ওঠা, সবটাই নদীর উপর নির্ভরশীল। জানেন কি এই বিশ্বে এমন কিছু নদী রয়েছে যেখান থেকে সোনা পাওয়া যায়! এগুলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
ঝাড়খন্ডের সুবর্ণরেখা নদী: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ঊড়িষ্যার রাজ্যের মধ্য দিয়ে সুবর্ণরেখা নদী প্রবাহিত হয়ে ঊড়িষার তালসারির কাছে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। ঝাড়খন্ডের সুবর্ণরেখা নদীতে লুকিয়ে রয়েছে সোনা।এই নদীতে নাকি পানির সঙ্গে সোনাও বয়ে চলে।
সুবর্ণরেখা নদীর উৎপত্তি রাঁচীর পিসকা গ্রাম থেকে। শোনা যায়, এক সময় নাকি এই পিসকা গ্রামে সোনার খনি ছিল। সেই জন্যই এই নদীর নাম সুবর্ণরেখা। আর সেই খনি থেকেই সোনা নদীতে মিশে যায়।
খারকাই নদী: সুবর্ণরেখার উপনদী হল খারকাই। জামশেদপুরের আদিত্যপুরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই নদী। এই নদীর দৈর্ঘ্য মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। এই নদীতেও নাকি সোনা পাওয়া যায়। সুবর্ণরেখা নদীর সঙ্গে যোগসূত্রের কারণে এই খারকাইয়েও সোনা ভেসে আসে।
ক্লনডাইক নদী:কানাডার ডসন শহরের ইওকন নদীর উপনদী হল ক্লনডাইক। ওজিলভিয়ে পর্বত থেকে সৃষ্টি হয়েছে নদীটি। এই নদীর আশপাশে সোনা খুঁজে পেতে পারেন আপনিও। ১৮৯৬ সালে ১৬ আগস্ট প্রথম এই নদীতে সোনার সন্ধান মেলে। মার্কিন খনিজ সন্ধানকারী জর্জ কারম্যাক প্রথম এর সন্ধান দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ১৮৯৬ সাল থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত রীতিমতো গোল্ড রাশ হয় ডসন শহরের ক্লনডাইক নদীতে। লক্ষাধিক খনিজ সন্ধানকারী বেরিয়ে পড়েন ক্লনডাইকের উদ্দেশে। জানা যায়, তাদের অনেকে সোনা উত্তোলন করে প্রচুর ধনী হয়ে গিয়েছিলেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব আলাক্সার চিলকুটের মধ্যে দিয়ে বরফে ঘেরা অনেকটা রাস্তা পাড়ি দিয়ে তারা পৌঁছান ডসন শহরে। ১৮৯৬ সালের আগে পর্যন্ত এই শহরের জনসংখ্যা ছিল ৫০০। ১৮৯৬ থেকে ১৮৯৯ সালের মধ্যে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার। অস্থায়ী বাড়ি বানিয়ে তারা বসবাস করতে শুরু করেন এই দুর্গম শহরে।
এই নদীতে খনন শুরু করেন অনেকে। সেখানে নদীর পাড়ে বরফ হয়ে যাওয়া বালি তুলে, বরফ গলিয়ে সোনা উদ্ধার করা হয়। এখানে সোনা উত্তোলনে কোনো আইনি বাধা-নিষেধ নেই।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877