স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে। হামলার সময় ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর নজরুল এভিনিউ থেকে রানীর বাজার সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন- স্কুলশিক্ষক আদিত্য দাস, সুনীল দাস ও তন্ময় দাসসহ অন্যান্যরা। তারা সবাই ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন বকসী বলেন, ‘মেয়র ফয়সাল বিপ্লব কর্তৃক এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে গালি দেয়া, কুমিল্লা-৬ নির্বাচনি আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কর্তৃক পূজা নিয়ে কটাক্ষ করে পূজার্থী জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কুড়িগ্রামের চারণ কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, বিভিন্ন স্থানে পূজার প্রাক্কালে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিন করার দাবিতে আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করি। মিছিল নিয়ে আমরা কর ভবনের কাছ পর্যন্ত এলে পুলিশ আমাদের বলে আরেকটি মিছিল আসছে আমরা যেন ফিরে যাই। আমরা সাথে সাথে ফিরে যাচ্ছিলাম। এ সময় তারা আমাদের ওপর পেছন থেকে হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তিন জন বেশি আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল সদরের এমপি বাহার সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন, বিক্ষোভ মিছিল নামলে প্রতিহত করবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এটা কে করেছে বুঝে নেন। তাছাড়া ওই মিছিলে ছিলেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি একটি প্রোগ্রামে আছেন পরে কথা বলবেন বলে কলটি কেটে দেন।
ঘটনার পর আহতদের দেখতে যান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় আহতদের দেখতে দুপুরে তাদের বাসায় যান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এ সময় তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।