স্বদেশ ডেস্ক:
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া কলেজছাত্রী লিজা রহমান মারা গেছেন। আজ বুধবার সকালে মারা গেছেন তিনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের উপদেষ্টা ডা. সামন্তলাল সেন বিবিসিকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে তরুণীটির শরীরের শতকরা ষাট ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
গত শনিবার দুপুরে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানায় অভিযোগ জানাতে যান লিজা এবং থানা থেকে বের হয়েই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এই ছাত্রী গত জানুয়ারি মাসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন।
এতদিন তারা রাজশাহীর শহরে ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন। থানায় গিয়ে ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, কোনো পক্ষই তাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছে না। এমন অবস্থায় সংসার টেকাতে পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন তিনি। পুলিশ তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়।
ওসি আরো বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মামলা করতে চান কিনা।
তরুণীটি জবাবে বলেন, তিনি আরেকটু ভেবে দেখতে চান এবং সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান।
এরপর পরই ব্যস্ত রাস্তায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।