স্বদেশ ডেস্ক:
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, হেফাজত নেতা মামুনুল হক ও মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমানসহ রাজবন্দীদের মুক্তি, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জীশান মহসীন।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার নিজেদের অপকর্মের জন্য আজ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা, স্যাংশন, অবরোধ দিচ্ছে। এর সম্পূর্ণ দায় সরকারের। তারা এখন আবার একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশকে সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা করছে। তাদের কারণে বাংলাদেশ আজ অর্থনীতিক-কূটনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। তারা আবারো একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়ার মতো একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। তারা ভারতের আশকারায় বিরোধী মতকে দমন-পীড়ন করছে।
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, কোনো ধরনের গুন্ডামিতে আর কাজ হবে না, আপনাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে দেশী-বিদেশী গণতন্ত্রপন্থীরা। এখন আপনাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম হবে, যত দ্রুত সম্ভব পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেয়া। না হলে আর কিছু দিন পর পালানোর জায়গাটুকুও পাবেন না।’
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জীশান মহসীন বলেন, ‘সরকার দেশের আইন, আদালত, প্রশাসন, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ইত্যাদি সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন তারা নিজেরাও ধ্বংসের খুবই দ্বারপ্রান্তে। ভোট ডাকাতির দিন শেষ, করুণ পরিণতি ভোগ না করতে চাইলে দ্রুত ক্ষমতা ছাড়ুন।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণ ও বিদেশী বন্ধুদের আর আপনাদের হুমকিতে কাজ হবে না। এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে, প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘জনগণ ফুঁসে উঠছে। সময় কিন্ত আর বেশি নেই, পরে কিন্ত পালানোর সময়ও পাবেন না। গণতন্ত্রের জন্য এবার যত রক্ত প্রয়োজন, আমরা তা দিতে প্রস্তুত আছি।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ইমাম উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, পাঠান আজহার, সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিরিন আকতার শেলী, যুগ্ম সদস্য সচিব মো: তারেক রহমান, সহকারী সদস্য সচিব শেখ খায়রুল কবির, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, আহমেদ ইসমাইল বন্ধন, জিয়াউর রহমান জিয়া, ফার্মাসিস্ট মোজাম্মেল মিয়াজী, শামীম রেজা, রাহাত জাহান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো: ইমাম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের নেতা রাসেল খন্দকার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমতুল্লাহ, ছাত্রনেতা শাহ মুহাম্মদ সাগর প্রমুখ।