স্বদেশ ডেস্ক:
ব্যাংকের লকারে সোনাদানা রাখার কথা তো শুনেছেন? কিন্তু লকারে নগদ টাকা রাখার কথা কোনো দিন শুনেছেন? ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের এক মহিলা, নাম অলকা পাঠক, ১৮ লাখ টাকা (ভারতীয় রুপি) আর কিছু গয়নাগাটি ব্যাংকের লকারে রেখেছিলেন। বছর দেড়েক আগে তিনি এই টাকা রেখেছিলেন। আসলে মেয়ের বিয়েতে খরচ করবেন বলে কষ্টের টাকা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেকারণে ব্যাংকের লকারে রেখেছিলেন তিনি ওই টাকা। আর সেই টাকাই খেয়ে নিলো উইপোকায়। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার ঘটনা। কিন্তু তিনি জানতে পারলেন কিভাবে?
আসলে ব্যাংকের বার্ষিক লকার চার্জ ও কেওয়াইসি নথি জমা দেয়ার জন্য ব্যাংক তাকে ডেকেছিল। সেই মতো তিনি ব্যাংকে যান। এদিকে ব্যাংকে যখন এসেছেন তখন একবার লকারটা না দেখে গেলে কী হয়? সেই মতো তিনি লকারটা খোলেন। আর সেটা খুলতেই চোখ একেবারে ছানাবড়া।
সমস্ত টাকা উইপোকাতে খেয়ে নিয়েছে। তিনি সাথে সাথে ব্যাংক ম্যানেজারকে ঘটনাটা জানান। অলকার একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে। তিনি টিউশনও করেন। আর ওই টাকা তিনি তিলতিল করে জমিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা যে ওইভাবে ব্যাংকের লকারে রাখা যায় না সেটা তিনি জানতেন না। টাকা যাতে সুরক্ষিত থাকে সে কারণে তিনি লকারে টাকা রেখে আসেন। আর সেই কষ্টের টাকা খেয়ে নিলো উইপোকাতে।
এক হাজার, দু হাজার টাকা নয়। একেবারে ১৮ লাখ টাকা উইপোকাতে নষ্ট করে দিয়েছে। মাথায় হাত ওই নারীর। তবে ব্যাংক ম্যানেজার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গোটা ঘটনা দেখছে। তিনি ওপরমহলে গোটা ঘটনাটি জানাচ্ছেন। কিন্তু লকারে টাকা রাখলে তার পরিণতি কী ভয়াবহ হতে পারে তা আরো একবার সামনে এলো।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি টাকা ফেরৎ পাবেন কি না সেটা জানা যায়নি। তবে ওই নারীর মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে। কোথা থেকে এরপর মেয়ের বিয়ের জন্য তিনি টাকা জোগাড় করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। কারণ তিনি বহু কষ্ট করে এই টাকা জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকাটাও গেল এবার গেল।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস