স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধের ঘোষণায় অস্থির হয়ে উঠেছে পেয়াজের বাজার। দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে পাইকারীতেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা দরে। খুচরা দোকানে তা ১১০ টাকায় ঠেকেছে। বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকার বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর ও চীন হতে পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা ভাবনা করছে এবং এরই মধ্যে ৩ জাহাজে ১৪ কন্টেইনার(৪০ ফুট সাইজ) পেঁয়াজ মিসর ও চায়না হতে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত রোববার ভারত পেয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষনা দেয়ার পর বিকেল হতেই দেশের প্রধান পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকাররা অনেকটা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেন। কিছু কিছু পাইকার বিক্রি করলেও তা ছিল অত্যধিক বেশি দামে। রোববার পাইকারীতেই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় পেঁয়াজ। আর খুচরা দোকানে তা বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকা কেজি দরে। অথচ রোববার বেলা ৩টার আগ পর্যন্ত খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
সোমবার সকাল না হতেই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম হাকা হচ্ছিল ১০০ টাকা। যদিও ৯০ হতে ১০০ টাকা কেজি দরে খুচরা দোকানীরা পেঁয়াজ ক্রয় করেন। তাছাড়া অধিকাংশ খুচরা দোকানীরা আগের মজুদ বিক্রি হওয়ার পর সোমবার নতুন করে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য রাখেননি। ফলে খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজার সোমবার অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার মেহের ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মো: আলী তালুকদার এই প্রতিবেদককে জানান সোমবার দিনভর তিনি এক কেজি পিঁয়াজও বিক্রি করতে পারেননি। ক্রেতা না থাকায় এমন অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বাজার পর হতে এমনিতেই বিক্রি কমে গেছে। আগে যেখানে ৭শ-৮শ বস্তা বিক্রি হতো গত কয়দিন ধরে বিক্রি ৫০-৬০ বস্তায় নেমে আসে। আর সোমবার কোন মালই বিক্রি করতে পারেননি বলে তিনি জানান।
এদিকে মিসর ও চীন হতে এরই মধ্যে ৩টি জাহাজযোগে ১৪ কন্টেইনার (ডাবল সাইজ) পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌছেছে এবং সেগুলো জাহাজ থেকে খালাস করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক নয়াদিগন্তকে জানিয়েছেন, জেটিতে নোঙ্গররত ২টি জাহাজে আসা ১৩টি ৪০ ফুট সাইজের কন্টেইনার বোঝাই পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হচ্ছে।