স্বদেশ ডেস্ক:
ভারত শাসিত কাশ্মিরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে ৮ সপ্তাহ ধরে (২ মাস) জুমা নামাজ বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাশ্মির উপত্যকার বেশ কিছু বড় মসজিদসহ জামিয়া মসজিদে মুসুল্লিদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদ, হজরতবাল দরগাহ মসজিদ, খানকাহ মাওলাতে একটানা অষ্টম শুক্রবার জুমা নামাজের আযান হয়নি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫–এ ধারা বাতিল করার পর একে একে ৫৫ দিন পার হলেও কাশ্মির উপত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় নানামুখি বিধি-নিষেধের জন্য স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কাশ্মির উপত্যকার অভ্যন্তরীণ এলাকার কয়েকটি মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ পড়ার অনুমতি দেয় ভারত সরকার। কিন্তু ভারতের সরকারি সূত্রগুলো বলছে, শুক্রবার জুমা নামাজের পর বিক্ষোভের আশঙ্কায় পুরোনো শ্রীনগরসহ আরো কিছু এলাকায় আবারো কারফিউ জাতীয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে প্রবেশ করার সবগুলো ফটক বন্ধ রাখা হয় এবং কাউকেই সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের হিন্দি গণমাধ্যম ‘পাঞ্জাব কেশরী’ সূত্রে প্রকাশ, জুমার নামাজ উপলক্ষে শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদের আশেপাশে যাতে মানুষজন জমায়েত হতে না পারেন সেজন্য প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি হুররিয়াত কনফারেন্সের একাংশের প্রধান মীরওয়াইজ ওমর ফারুকের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এলাকায় অবস্থিত জামিয়া মসজিদের আশেপাশের সড়কে কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। মানুষজনকে এজন্য নিজেদের গন্তব্যস্থলে যেতে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। একইভাবে উপত্যকার অনেক স্থানে আরো কয়েকটি মসজিদকেও মুসল্লিদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। সূত্র : পার্সটুডে।