শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-সহকারী সেক্রেটারি

আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-সহকারী সেক্রেটারি

স্বদেশ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত উপসহকারী সেক্রেটারি মিরা রেসনিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী পর্যায়ের নিরাপত্তা সংলাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তার ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র স্থানান্তর ব্যুরোর অফিসের তত্ত্বাবধান করেন রেসনিক। এটি বিদেশী সামরিক বিক্রয়, তৃতীয় পক্ষের স্থানান্তর এবং অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা নিবন্ধের মাধ্যমে সরকার থেকে সরকারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম স্থানান্তরে বার্ষিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি দেয়।

ব্যুরোর নিরাপত্তা সহায়তা অফিসেরও তত্ত্বাবধান করেন রেসনিক। এর আওতায় বার্ষিক মার্কিন নিরাপত্তা খাতে প্রায় ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া এটি প্রতিরক্ষা বিভাগের নিরাপত্তা খাতের সহায়তা কর্মসূচিতে ৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি স্টেট ডিপার্টমেন্টের জন্য তদারকি, পরিকল্পনা ও যোগানের সমন্বয় করে। প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা ও সামরিক কার্যক্রমের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টকে সরবরাহ করা হয়।

নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে পারে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের হুমকি হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও আলোচনায় আসতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে অনুষ্ঠিত অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপে উভয় পক্ষ জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) ও অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্টের (এসিএসএ) মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ করেছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, তথ্য আদান-প্রদান ও সামরিক সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য জিএসওএমআইএ ও এসিএসএ অপরিহার্য।

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ফলোআপ হিসেবে এই বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।

সূত্র :ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877