স্বদেশ ডেস্ক:
রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ও তার সহযোগী দিমিত্রি উতকিনকে তার জীবন যে শঙ্কার মধ্যে ছিল, তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। গতকাল শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র বেলারুশের এ নেতা। খবর আল জাজিরার।
লুকাশেঙ্কো দাবি করেছেন, তিনি তাদের বেলারুশে থেকে যেতে বলেছিলেন। গত জুনের শেষের দিকে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন প্রিগোজিন। লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবসান হয়।
শুক্রবার লুকাশেঙ্কো বলেন, তিনি দুবার প্রিগোজিনকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তাতে পাত্তা দেয়নি প্রিগোজিন।
বেলারুশের এ নেতা বলেন, তিনি বিদ্রোহের সময় প্রিগোজিনকে সতর্ক করেছিলেন যে মস্কো অভিমুখে তার বিদ্রোহ অব্যাহত রাখলে তাকে মেরে ফেলা হবে। এর জবাবে প্রিগোজিন বলেছিলেন, ‘গোল্লায় যাক, আমি মারা যাব।’
বিদ্রোহের পর প্রিগোজিন ও উতকিন বেলারুশে লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় তাদের দুজনকে তাদের জীবন যে শঙ্কার মধ্যে তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ওয়াগনার নেতাদের মধ্যে লুকাশেঙ্কোর কবে এসব কথা হয়েছে- তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
লুকাশেঙ্কো আরও বলেছেন, ‘আমি পুতিনকে ভালোভাবে চিনি। তিনি সবকিছু ঠাণ্ডা মাথায় হিসাব করেন।’
এদিকে ওয়াগনারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়, প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত বিমানটিতে গুলি করে ভূপাতিত করেছে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
গ্রে জোন নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের একটি পোস্টে বলা হয়, প্রিগোজিন রাশিয়ার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার পদক্ষেপের ফলস্বরূপ মারা গেছে। গ্রে জোন চ্যানেলটি ওয়াগনার গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এ ছাড়া মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল হফম্যান দাবি করেছেন, প্রিগোজিনের মৃত্যু অবশ্যই পুতিনের নির্দেশে হয়েছে। সিআইএর মস্কো স্টেশনের সাবেক এই প্রধান বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনের হত্যা করা হয়েছে।’
তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিবিসিকে বলেছেন, প্রিগোজিনকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ক্রেমলিন- এমন অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’।