ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ ধরা পড়েছেন রিয়াজুল মিয়া (২৯) নামে এক ব্যক্তি। পেটের ভেতর ইয়াবা লুকিয়ে আনছিলেন তিনি।
রিয়াজুল কক্সবাজারের একটি হোটেলের কর্মচারী। এই পেশার আড়ালে তিনি মাদক পাচার করে থাকেন। নিয়মিত কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আকাশপথে আসা-যাওয়া করেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) রিয়াজুল মিয়াকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহিরাঙ্গন থেকে আটক করে । এরপর তাঁর পেটের এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে রিপোর্টে রিয়াজুলের পাকস্থলিতে কয়েকটি প্যাকেটের মতো দেখতে বস্তুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর গতকাল রাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা চেষ্টার পর রিয়াজুলের পেট থেকে ১ হাজার ১৭০টি ইয়াবা বের করা হয়।
আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রিয়াজুলের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার গুলড়া গ্রামে। পেটের ভেতর ইয়াবা পাচারের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি।
আলমগীর হোসেন বলেন, রিয়াজুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে যে, পলিথিনে ৩০ থেকে ৫০ টির মতো ইয়াবার ছোট প্যাকেট করা হয়। এসব প্যাকেট স্কচটেপে মুড়িয়ে খেজুরের মতো আরেক ধরনের প্যাকেট করা হয়। এসব প্যাকেট গিলে ফেলা হয়। এর জন্য পাকা কলা নরম করে এর ভেতর ইয়াবা রাখা প্যাকেট রাখা হয়। এরপর ভাতের মতো গিলে খাওয়া হয়। এভাবে পেটের ভেতর ইয়াবা রেখে আকাশপথে ঢাকায় আনেন রিয়াজুল। ধারণা করা হচ্ছে, এর আগেও ইয়াবার চালান পেটের ভেতর লুকিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি। এভাবে ইয়াবাপাচারে ধরা পড়ার ঝুঁকি কম থাকে। তাই এই কৌশলে ইয়াবার পাচার করেছেন রিয়াজুল। রিয়াজুলের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।