স্বদেশ ডেস্ক: পুজোর আর দিন দশেকও বাকি নেই। সব বান্ধবীদেরই পুজোর নতুন জামা, শাড়ি কেনা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছুই কেনা হয়নি বছর ১৪-এর ফুলি মালিকের। স্বাভাবিকভাবেই বান্ধবীদের হরেক রকম পোশাক দেখে বাড়িতে এসে শাড়ি কিনে দেওয়ার আবদার করেছিল সে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ দামি শাড়ি কিনে দিতে পারেননি দিনমজুর বাবা। চরম অভিমান হয়েছিল নাবালিকার। সেই অভিমানেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী। উৎসবের আবহে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কালনার কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের সর্বমঙ্গলা ৭৮ গ্রামে।
ওই কিশোরীর নাম ফুলি মালিক। কালনার ময়না সুন্দরী স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় বাড়িতে একাই ছিল ফুলি। বাবা-মা বাড়ি ফিরে দেখেন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে কিশোরী। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃতার পরিবার। ওই কিশোরীর বাবা শ্যামল মালি বলেন, “আমার একটাই মেয়ে। ও পুজোয় একটা দামি শাড়ি চেয়েছিল। আমি বলে ছিলাম এখন টাকা নেই। এখনও তো পুজোর অনেক দেরি আছে। দু’দিন অপেক্ষা কর, আমি তোকে শাড়ি কিনে দেব। কিন্তু মেয়ের এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল..।”
ওই কিশোরীর মা সুমিত্রা মালি জানান, বরাবরই সাজগোজ করতে পছন্দ করত তাঁদের মেয়ে। এবছর তাঁদের কাছে একটি শাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করেছিল। শখ ছিল পুজোর সময় বন্ধুদের সঙ্গে পরে পুজোর মন্ডপে যাওয়ার। পুজোর জন্য বন্ধুদের সঙ্গে অনেক পরিকল্পনাও করেছিল। কিন্তু শাড়ি কিনে দিতে পারেননি তাঁরা। সেই কারণেই এই পরিণতি। সুমিত্রা মালি কথায়, “আমরা গরীব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। অত দাম দিয়ে শাড়ি কিনে দিতে পারিনি। সেই অভিমানেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওকে বলেছিলাম একটু অপেক্ষা কর, কিনে দেব। কিন্তু সেই কথা আর শুনল না।” সূত্রের খবর, পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।