স্বদেশ ডেস্ক: মোদি সরকারের নয়া উদ্যোগ। এবার জনগণনাতেও ব্যবহার হবে মোবাইল অ্যাপ। এতে যেমন কাগজ কম নষ্ট হবে, তেমনই কমবে কাজের ভারও। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের কথা সোমবারই জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই মুহূর্তে গোটা দেশ জুড়ে চলছে ভোটার যাচাইয়ের কাজ। অ্যাপ আর পোর্টালের মাধ্যমে ভোটারদের সেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এবার জনগণনা ও জনপঞ্জি প্রকাশের কাজেও ব্যবহার করা হবে অ্যাপ। এদিন দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “কাগজে কলমে সেনসাসের বদলে এবার হবে ডিজিটাল সেনসাস।”
চলতি বছরের মার্চে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, আগামী জনপঞ্জী প্রকাশিত হবে ২১২১-এর ১ মার্চ। দশ বছর অন্তর এই কাজ হয়। ২০১১-য় শেষ জননগণার কাজ হয় এবং জনপঞ্জি প্রকাশিত হয়। তাতে দেশের জনসংখ্যা পৌঁছায় ১২১ কোটিতে। মার্চের শুরুতে কেন্দ্রের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার দুই পর্যায়ে দেশে জনগণনার কাজ হবে। ২০২১-এর পয়লা মার্চ গোটা দেশের জনপঞ্জি প্রকাশের রেফারেন্স তারিখ ধরা হয়েছে। এছাঙা কাশ্মীর ও হিমাচলের মতো বরফাবৃত্ত জায়গায় জনগণনা ও জনপঞ্জি প্রকাশের রেফারেন্স তারিখ ধরা হয়েছে পয়লা অক্টোবর ২০২০। অর্থাৎ ওই তারিখের মধ্যে এই দুই এলাকার জন গণনার কাজ শেষ করতে হবে। দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে যা চলবে ২০২১ এর ১ মার্চ পর্যন্ত। কেন্দ্রের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে দেশের সব জেলাশাসকের কাছেই। প্রস্তুতির জন্য পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতেও শুরু হয়েছে তৎপরতা। ১২ আগস্ট থেকে এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে অসমে এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জির চূঙান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে জনগণনার সঙ্গে নাগরিকপঞ্জির সরাসরি কোনও যোগ নেই বলেই জানাচ্ছেন কেন্দ্র। তবে সবমিলিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এখনও দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ অ্যাপ ইন্টারনেট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাছাঙা ডিজিটাল ইন্ডিয়া গঙার কাজ এখনও শেষ হয়নি। ইন্টারনেট তো দূরস্ত, দেশের সর্বত্র এখনও টেলিফোনই পৌঁছায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সন্দিহান সাধারণ মানুষ। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ডিজিটাল করার অর্থ দেশের যে কোনও প্রান্তে বসে যে কোনও ব্যক্তি নিজের তথ্য দিতে পারবেন।