স্বদেশ ডেস্ক: থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে জনিপ্রয় ম্যাসাজ পার্লার। বিদেশের আদলে চালু হয়েছে আমাদের দেশেও। ঢাকার গুলশানে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো স্পা বা ম্যাসেজ সেন্টার। কিন্তু ম্যাসাজের সাইনবোর্ডে প্রকাশ্যেই অন্য বাণিজ্যের ডাক দিচ্ছিলেন তারা। ‘আওয়ার থেরাপিস্ট ইজ ইয়াং অ্যান্ড সো হট।.. উই হ্যাভ নিউ ফোর গার্লস।’ এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছিলো ঢাকার ম্যাসজে পর্লার বা স্পা সেন্টারগুলোর।
বিজ্ঞাপনেই স্পষ্ট ছিলো স্পা’র আড়ালে এখানে অনৈতিক কাজ হয়। শেষ পর্যন্ত গুলশানের তিনটি স্পা সেন্টারে গত রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী ও ৩ জন পুরুষসহ ১৯ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। অভিযানকালে নারীরা বোরকা, হেজাব পড়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। স্পা সেন্টারগুলো হচ্ছে, লাইফস্টাইল হেল্থ ক্লাব অ্যান্ড স্পা অ্যান্ড সেুলন, ম্যাঙ্গো স্পা ও রেডিডেন্স সেলুন-২ অ্যান্ড স্পা। স্পা সেন্টারগুলো গুলশানের নাভানা টাওয়ারের ১৮, ১৯ ও ২০ তলায় অবস্থিত।ম্যাসেজ পার্লারের বিজ্ঞাপনে ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’ ও ‘নুর’ ম্যাসেজের কথা উল্লেখ রয়েছে। দুটি ম্যাসেজ শরীরের সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে করানোকে বুঝায়। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনপ্রিয়। এসব ম্যাসেজের আড়ালে গুলশানের স্পা সেন্টারগুলোতে চলতো অনৈতিক কার্যকলাপ। ব্যবসায়ী, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিত্তশালীদের ছেলেরা ভিড় করতেন সেখানে। ঘন্টার পর ঘন্টা অর্থের বিনিময়ে সেবা নিতেন সুন্দরী তরুণীদের। তরুণী বাছাই ও সময়ের উপর ভিত্তি করেই বিল দিতে হতো। যা বাইরের দেশের চেয়ে কোনো অংশেই কম না। ম্যাসেজ পার্লারের ভেতরের কক্ষে আধো আলো-আঁধারে সাজানো বিছানায় সময় কাটাতেন তারা। শেষ পর্যন্ত সেখানেই নজর পড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। অভিযান চালানো হয় ম্যাসেজ পার্লারগুলোতে।
গুলশান জোনের পুলিশ উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, এই স্পা সেন্টারগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রাত আটটার দিকে তিনটি ফ্লোরে অভিযান চালাই। অভিযানে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মালিকদের সন্ধান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।