স্বদেশ ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ক্যাসিনোর ঘটনায় জব্দ করা টাকার উৎস জানতে চাওয়া হবে। তিনি আরও বলেছেন, ক্যাসিনোর যন্ত্রপাতি আমদানির বিষয়ে প্রশাসনের কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। কেননা প্রশাসন জানে না এমন কোন কাজ বাংলাদেশে হতে পারে না। এসব অপরাধ যারা করেছে তাদেরকে অবশ্যই প্রচলিত আইনে শাস্তি পেতে হবে। ক্যাসিনোকে জুয়া হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী, এখানে ক্যাসিনো নামে জুয়া খেলা বাংলাদেশে চলতে পারে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সড়ক নিরাপত্তা শীর্ষক এক সেমিনার শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
এ বিষয়ে সাংবাবিদকদের একাধিক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, হোক ক্যাসিনো বা হোক অন্য কিছু, যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন অপরাধই হোক অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। যারা অপরাধ, অন্যায় করেন তারা সাজা পাবেনই। ক্যাসিনো জিনিসপত্র কিভাবে আসল এই কাজটা মূলত এনবিআরের। অবশ্যই আমরা এনবিআরকে বলেছি খোঁজ খবর নিতে। টাকার উৎস না দেখাতে পারলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, একইভাবে যাদের হিসাব জব্দ করা হয়েছে তাদের কাছেও টাকার উৎস জানা হবে। আর কারো কাছে টাকা থাকলে তো এনবিআর চাইলেই সেটা আনতে পারবে না। তাকে অবশ্যই একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আগে নোটিশ দেবে এই টাকা তুমি কোথায় পেয়েছ। তারপর টাকার মালিক ব্যাখা দেবে। জবাব দিতে না পারলেও অন্য কেস। আর ব্যাখা যদি দিতে পারে তাহলে সেটা ইনকামের সাথে যোগ হবে এবং সেটার ওপর ট্যাক্স দিতে হবে।
ক্যাসিনোর যন্ত্রপাতি আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা প্রশাসনকে জানান উচিত ছিল। প্রশাসন জানে না এমন কোন কাজ বাংলাদেশ হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি প্রশাসনের কেউ না কেউ কোন না কোনভাবে এ বিষয়ে জড়িত থাকতে পারে।এটা অবশ্যই এনবিআরের কাজ। এনবিআরই এটা করবে। এটা নিশ্চই রেকর্ড আছে। এগুলো তো এ দেশে হয়নি। বাইরে থেকে এসেছে। কোন না কোন মেশিনারি হিসেবে দেখিয়ে সেগুলো আনা হয়েছে। এতে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন নিশ্চই তাদেরকেও তাদের নামই আছে। এগুলো পাওয়া যাবে।
কামাল বলেন, আমার জানা মতে বিদেশে যেসব জায়গায় কেসিনো আছে সেগুলো তো সরকার থেকে অনুমোদিত। সেখানে একটা নিয়ম কানুনের মধ্যে চলে। কিন্তু বাইরে যে নিয়ম কানুন আছে তা তো আমাদের দেশে চলবে না। কেসিনো তো এক প্রকার জুয়া। জুয়া তো সম্পূর্ণ অবৈধ। আমাদের দেশে তো কোনভাবেই জুয়া চলে না। সুতরাং ক্যাসিনো তো চলতেই পারে না। ক্যাসিনো চলবে কি করে। অবৈধ কাজ তো আইন করে বৈধ করা যাবে না। করবে কেউ? করবে না।
যদি কেউ অবৈধভাবে টাকা অর্জন করে সেটা এনবিআর এসে নিয়ে যাবে না। নিতে পারবে না। নেওয়ার কোন আইন নাই। সুতরাং আমার মন্ত্রণালয় থেকে আমি বলবো এনবিআর আইনি প্রক্রিয়ার কাজ করবে। এছাড়া দুদক আছে। তারা ধরবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন, নির্বাচনের পরেও একাধিকবার বলেছেন, কোন ক্ষেত্রেই অন্যায়, অপরাধ, দু:শাসন, দুর্নীতি তিনি দেখতে চান না। তিনি দেখতে চান সুন্দর সমাজ। যেই অপরাধ করুক। যত বড় ক্ষমতাশালী হোক অপরাধ করলে প্রচলতি আইনি কাঠামোতেই শাস্তি পেতে হবে। এতে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।