স্বদেশ ডেস্ক:
দীর্ঘ ১৯ মাস যাবত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সিলেটে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ হলো। এতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতারা দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কঠোর আন্দোলনের জোর দাবি জানান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট নগরীর রেজিস্টারি সমাবেশ শুরু হয়ে তা শেষ হয় সন্ধা ৬টার দিকে। সরেজিমনে দেখা যায়, বিভাগীয় মহাসমাবেশে সিলেট রেজিস্টি মাঠ জনসমুদ্রে পরিনত হয়। মাঠে জায়গার সংকুলন না হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠের পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়ে নেত্রীর মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দেন। দুপুর থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন।
মহাসমাবেশে স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন ঘোষণার জোর দাবি উঠে আসে। তারা নেত্রীর মুক্তি এবং সরকারের পতনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে কঠোর আন্দোলন চান।
সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুল হুদা বলেন, একদিকে আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী বেগম জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাববন্দি অন্যদিকে অবৈধ সরকার দলীয় নেতারা দেশে সম্পদ লুটপাট করে ধরা পড়ছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আজই তারা কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
আরেক সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, আর কতদিন এই সব কর্মসূচি চলবে। নেত্রীর মুক্তির দাবিতে কঠোর কর্মসূচি দিন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল কাহের শামীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়াও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান মো: শাজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নানা নাটকিয়তার পর মঙ্গলবার সকালে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি পায় বিএনপি। এর আগে রাতে সভা মঞ্চ খুলে নেয়া হয়েছিল। পরে অনুমতি পাওয়ায় সকালে ফের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়।