স্বদেশ ডেস্ক:
চাকরি থেকে অব্যাহতির মিথ্যে তথ্য দিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হয়েছেন জেলা সাব রেজিস্টার অফিসের এক কর্মচারী।
ওই অফিস সহকারীর নাম এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো। এ ছাড়া তিনি মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে, তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কও ছিলেন তিনি।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ওই কর্মচারী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন।
২৫ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউরি ইন্টারন্যাশনাল হলে উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এরাদুল হক নিজামী ভুট্টোকে সভাপতি এবং মো. নাছির উদ্দিন রিয়াজকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
এ বিষয়ে এরাদুল হক নিজামী ভুট্টোর সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা করলে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে থাকার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেছেন, প্রার্থী হওয়ার আগেই এরাদুল হক ভুট্টো চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা তাদের জানিয়েছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠনতন্ত্রে বয়স কোনো লিমিট নেই। ছাত্র হতে হবে এমন কোনো কিছু নেই। মুজিব সৈনিক হলেই চলে। তবে আমরা যতটুকু জানি সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। তবে চাকরিতে থাকা অবস্থায় দলীয় পদে থাকার বিধান না থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’