সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নাড়ীর টানে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

নাড়ীর টানে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

দীর্ঘ ছুটি পেয়ে প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মানুষ গ্রামের বাড়ির পথে রওয়ানা দিয়েছেন। এজন্য বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। খবর বাসসের।

শনিবার সকাল থেকে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আজ যাত্রীচাপ ছিল একটু বেশি। এবার ঈদের ছুটিতে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতু চালুর ফলে যানজটের বিড়ম্বনা থেকে মানুষ রেহাই পেয়েছে। দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকার ঝুঁকি না থাকায় ওই অঞ্চলের মানুষদের এবার ঈদ যাত্রায় সড়ক পথকেই বেছে নিতে দেখা গেছে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ মহাসড়কের অবস্থা ভালো হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় দীর্ঘ যানজটের আশংকা কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এবার প্রায় ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশ। তবে এর মাঝে আগামী ৩ জুন সোমবার অফিস-আদালত খোলা। ঈদযাত্রা লম্বা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনেকেই ওইদিন ছুটি নিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পবিত্র লাইলাতুল কদরের ছুটি রোববার।

মাঝখানে সোমবার অফিস-আদালত খোলা থাকলেও মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটি। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ সোমবার একদিনের ছুটি নিলে ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল ব্যাপক। অফিস শেষে অসংখ্য মানুষ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। দীর্ঘযাত্রায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগেভাগেই বাড়ি রওনা হয়েছেন তারা।

অফিস-আদালতে রমজানের কর্মদিবস বিকেল সাড়ে ৩টায় শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। নগরবাসী রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন বাড়ি যেতে। রাজধানীর বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া কোন বাসেই আসন খালি ছিল না। আজ সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে ছাড়লেও ভিড় ছিল একটু বেশি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877