বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

ক্রিকেটার নাসিরকাণ্ডে সাক্ষ্য দিল তামিমার মেয়ে

ক্রিকেটার নাসিরকাণ্ডে সাক্ষ্য দিল তামিমার মেয়ে

স্বদেশ ডেস্ক:

তালাক জালিয়াতির মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে আরও দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। সাক্ষীরা হলেন আসামি তামিমার মেয়ে রাফিয়া হাসান তুবা ও বাদী রাকিবের মামা লুৎফর রহমান।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, তামিমার মেয়ে রাফিয়া হাসান তুবার সাক্ষ্য আদালত ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন। তাই সে সম্পর্কে তিনি কিছু প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এদিন সাক্ষ্য গ্রহণকালে ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী তামিমা আদালতে হাজিরা দেন। এ নিয়ে এ মামলাটি চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আদালত নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমানের দাখিল করা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত বছর ৩১ অক্টোবর আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারী করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ। এছাড়া জেনে শুনে তামিমাকে নাসিরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ায় তামিমার মা সুমি আক্তারও দোষী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তোবা হাসান নামে ৮ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বাদীর নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন এবং তিনি হতবাক হন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। আসামি নাসির বাদীকে ফোন করে জানান, যে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। ’
মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশু কন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে বাদী ও তার শিশু সন্তানের জন্য চরমভাবে মানহানিকর।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877