স্বদেশ ডেস্ক:
ঈদে ফাঁকা ঢাকায় তরুণদের মোটরসাইকেল বা কার রেসিং না করার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেছেন, ফাঁকা ঢাকায় উঠতি বয়সের অনেক তরুণ মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কারের রেস করে। আমি কঠোরভাবে বলে দিচ্ছি, এ ধরনের রেস করবেন না। ফাঁকা রাস্তায় যেন রেস না করে সেজন্য ব্যারিকেট দেয়া হবে, যেন রেস করতে না পারে। তারপরও সবাইকে সতর্ক করছি।
মঙ্গলবার মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শন শেষে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা ছিঁচকে চোর, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টিসহ এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করছি। ছয় শ’ জন পেশাদার অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ঈদের আগে যেন তাদের জামিন না হয়।
ঈদের সময় ঢাকায় পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গত ঈদে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারো আমরা পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারব। আমাদের টহল পুলিশ থাকবে সার্বক্ষণিক, সিসি ক্যামেরা থাকবে, ডিবি পুলিশ ঢাকার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াবে।
তারপরও ঢাকা ছেড়ে যাওয়া পরিবারগুলোর উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। তবুও যারা বাড়ি যাচ্ছেন, আপনাদের মালমাল বিশেষ করে, স্বর্ণ বা নগদ টাকা কারো কাছে নিরাপদে গচ্ছিত রেখে যাবেন।
এবারের ঈদ যাত্রায় সড়কের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, রাস্তার পরিস্থিতি ভালো। এখন যে অবস্থা দেখলাম চাপ নেই। শর্ট রুটে দু’একটা গাড়ি বেশি ভাড়া নেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বিআরটিএ’র ম্যাজিস্টেট দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। দূরপাল্লার গাড়িতে চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীরা যদি অভিযোগ করেন আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। কেউ হয়রানির শিকার হলে আমরা জানতে পারলে ব্যবস্থা নেব। অনেক সময় অনেক অভিযোগ না জানালে অগোচরে থেকে যায়। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলব, বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রা করবেন না।
গাড়িতে অপরিচিত লোকদের দেয়া খাবার বা পানীয় গ্রহণ না করার বিষয়েও যাত্রীদের সতর্ক করেন কমিশনার।
রাজধানীর কোররবানির হাটগুলোতে পুলিশের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাটের কারণে যেন যানজট না হয়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। প্রতিটি গরুর হাটে জাল টাকার মেশিন, ব্যাংক এবং হাসিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাট থেকে যেন ব্যাপারীরা নগদ টাকা নিয়ে যেতে না নয়, সে ব্যবস্থা রয়েছে। গরুর হাটকেন্দ্রিক এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ আসলে জাল টাকার ছড়াছড়ি হয়। এ ব্যাপারেও আমরা সতর্ক। হাটে মেশিন বসানো হয়েছে। ডিবি পুলিশ এ ব্যাপারে সচেষ্ট।