শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

‘ডাকা’র দুর্দশায় চার লাখ মানুষ

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩

স্বদেশ ডেস্ক:

সংখ্যাটি চার লাখ। তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের মা-বাবাদের সাথেই থাকতে পারত। তরুণ অভিবাসীরা আরো ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ, শিক্ষার সুযোগ এবং বহিষ্কার থেকে সুরক্ষা পেতে পারত। কিন্তু ১১ বছর ধরে ডাকা (ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল) কর্মসূচির ভাগ্যের সাথে তাদের ভাগ্যও হতাশার গহ্বরে ঝুলছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের আইনগত চ্যালেঞ্জ এবং রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন রাজ্যগুলো ডাকার অবসান চাওয়ায় এসব শিশু ও তরুণ মারাত্মক দুর্দশায় থাকতে বাধ্য হচ্ছে।

২০২১ সালে টেক্সাসের এক ফেডারেল বিচারক বর্তমান প্রাপকদের জন্য ডাকার সুযোগ দিলেও নতুন আবেদনকারীদের জন্য তা বন্ধ করে দেন।

এর পর থেকে প্রথমবারের মতো আবেদন করার যোগ্য হলেও চার লাখ লোক তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিবাসী সংস্কারে সমর্থনকারী এফডব্লিউডি.ইউএস নামের একটি গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।

বর্তমানে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার প্রাপক প্রতি দুই বছর পর পর তারে ডাকা মর্যাদা নবায়ন করার সুযোগ পেয়ে থাকে।

ইউনাইটেড উই ড্রিম-এর ন্যাশনাল কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার ক্যাথরিন লি বলেন, ডাকার কারণে কেবল যারা আটকে আছে তারাই নয়, বরং যারা সুবিধা পাচ্ছে, তারাও সমস্যায় আছে।

ওবামা আমলের ওই কর্মসূচিতে আইনগত মর্যাদা না থাকা শিশু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের বহিষ্কারের শঙ্কা ছাড়াই কাজ করা ও পড়াশোনা করার সুযোগ পেত।

ডাকার গ্যাঁড়াকলে পড়া বেশির ভাগের বয়স এখন কিশোর বয়সের শেষ প্রান্তে কিংবা ২০-এর কোঠার প্রথম দিকে। তাদের এখন নিজস্ব জীবন শুরু করার কথা।

ক্যাথরিন লি বলেন, এসব তরুণ-তরুণীদের অনেকে হাই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছে, তাদের অনেকে এমনকি কমিউনিটি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করছে বা ব্যাচেলর্স ডিগ্রি পাচ্ছে। অথচ তারা এরপর কী করবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে। কারণ তাদের কোনো ওয়ার্ক পারমিট নেই।

তিনি বলেন, তারা সবসময় হুমকির মুখে থাকছে। তারা এই দেশে কোনো ধরনের সুরক্ষা পাচ্ছে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ