স্বদেশ ডেস্ক:
মণিপুরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। কয়েক মাস ধরেই মণিপুর রাজ্যে আন্দোলন চলছে। এই সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন অসংখ্য। গৃহহীন হন কয়েক হাজার মানুষ। এবার গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন বিএসএফ সদস্য রঞ্জিত যাদব।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সেরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিতের। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে কর্তব্য পালনে যান তিনি।
সোমবার রাতেও স্ত্রী কৌশল্যা যাদবের সঙ্গে কথা হয়েছিল রঞ্জিতের। সেই সময় ফোনে গুলির আওয়াজ শুনতে পান স্ত্রী। তখন থেকেই আশঙ্কায় ছিল পরিবার। জঙ্গিদের গুলিতে সকাল ৭টার দিকে কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রঞ্জিত।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন রঞ্জিত। স্ত্রী এবং পুত্রসন্তান ছাড়াও রয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা, দুই বোন (এক বোন দৃষ্টিহীন) এবং এক বেকার ভাই। তার মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত পরিবার ভবিষ্যতে সংসার কিভাব চলবে তা নিয়ে চিন্তিত।
সেনার তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘একজন বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। সিরোউয়ে অসম রাইফেলসের দুই কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এলাকায় তল্লাশি অভিযান এখনো চলছে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে সেনা, অসম রাইফেলস, পুলিশ এবং সিএসএফের যৌথ দল পার্বত্য এলাকা এবং উপত্যকা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অবস্থান নিয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন। আগে থেকেই কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ৩৫ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয় বলে জানায় প্রশাসন।
গত ৩ মে জনজাতি সম্প্রদায়ের একটি মিছিল থেকে মণিপুরে হিংসা ছড়ায়। তারপর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামানো হয় সেনাবাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। মণিপুরে এখনো শান্তি ফেরানো যাচ্ছে না।
খবর: এই সময়, আনন্দবাজার