স্বদেশ ডেস্ক:
তিন ইসরাইলি সেনার হত্যাকারী মিসরীয় সেনা কর্মকর্তার লাশ ফেরত দিয়েছে ইসরাইল। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মিডিয়া সেল ওই সেনা কর্মকর্তার ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করেছে। ওই কর্মকর্তার নাম মোহাম্মাদ সালাহ (২২)।
মিডিয়া সেল দাবি করেছে, মিসরীয় ওই কর্মকর্তার সাথে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামীদের যোগাযোগ ছিল। তার ফেসবুকের এক স্ট্যাটাস থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি এই ঘটনার আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন, আল্লাহ ফিলিস্তিনিদের সাথে রয়েছেন। হতে পারে, তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন।
আরো বলা হয়, সেনা কর্মকর্তা সালাহ ২০২২ সালের জুনে মিসরীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি ইসরাইল সীমান্তে সীমান্তরক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালাহ তার এক ইউনিট সহকর্মীর মৃত্যু দেখে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে মিসরীয় কতৃপক্ষ কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এ ঘটনায় মিসর ও ইসরাইলের মাঝে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে।
তেল আবিবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিসরীয় সেনা কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নাশকতা উস্কে দিয়েছে। এ বিষয়ে উভয় দেশকে যৌথ তদন্ত করার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, মিসরীয় কর্মকর্তা একটি প্রাইভেট ক্রসিং দিয়ে ইসরাইলি সীমানায় প্রবেশ করেছে। এরপর তিনি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ইসরাইলের সীমানায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরাফেরা করে। এ সময় তার সাথে পুরাতন মডেলের একটি কালাশনিকভ রাইফেল, ছয়টি ম্যাগাজিন গোলাবারুদ, একটি কমান্ডো ছুরি ও কুরআন ছিল। তিনি তার ছুরি দ্বারা সীমান্ত তারকাটা কেটে ফেলেছিলেন।
অপরদিকে মিসরের সেনাবাহিনীর মিডিয়া সেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইল সীমান্তে মাদককারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় মিসরীয় সেনা কর্মকর্তা নিরাপত্তা রেখা অতিক্রম করেছে। পরে তার সাথে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়। এতে ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হয়। আহত হয় আরো কয়েকজন।
সূত্র : আল জাজিরা মুবাশ্বির ও অন্যান্য